আট মাস বাদে লিওনেল মেসিকে ফেরালেন, কিন্তু গঞ্জালো হিগুয়েনের নামটা মুখেও আনলেন না আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কোলনি। ভেনেজুয়েলা ও মরক্কোর বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের প্রাথমিক দলেও ছিলেন না চেলসি ফরোয়ার্ড। স্কোয়াডে নাম না দেখে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হিগুয়েন। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে যা বোঝার বুঝে গেলেন। শেষে জানিয়ে দিলেন, আলবিসেলেস্তেদের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করার কথা। মানে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অবসর ঘোষণা দিয়েছেন হিগুয়েন।
‘এটাই শেষ। অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম, আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে প্রতিটা মূহুর্ত উপভোগ করতে চাই। তবে কারও কারও আনন্দ আবার অন্যের চোখে ভালো ঠেকে না। আমার সময় শেষ।’ -বৃহস্পতিবার ফক্স স্পোর্টসকে অভিমানের সুরে এমনটাই জানিয়েছেন হিগুয়েন।
আগেরবার যখনই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন, অভিনন্দনের চেয়ে বেশি পেয়েছেন দুয়ো। ফক্স স্পোর্টসের মাধ্যমে তার সমালোচকদের আবারও এক হাত নিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের সাবেক তারকা, ‘আমি দলে ডাক পেলাম কিনা এবার সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা বন্ধ করুন।’
আর্জেন্টিনার হয়ে ৭৫ ম্যাচে ৩১ গোল করেছেন হিগুয়েন। খেলেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০১৫ ও ২০১৬ কোপার ফাইনালে। ওই তিন ফাইনালের একটাই ফল- হার। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচটাই হয়ে আছে আর্জেন্টিনার জার্সিতে হিগুয়েনের শেষ ম্যাচ।
১৯৯৩ সালের পর থেকে বড় কোনো শিরোপা জিততে না পারার কারণ হিসেবে মেসির পাশাপাশি হিগুয়েনকেও সমানতালে দোষারোপ করেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। তিন ফাইনালে হারের পেছনে এ ফরোয়ার্ডের একাধিক সহজ সুযোগ হাতছাড়া করা এখনও পোড়ায় আর্জেন্টিনাকে।
‘একটা বিশ্বকাপসহ তিন ফাইনাল জিততে না পারায় সমালোচকরা আমাদের দোষ দেয়, সমালোচনা করে। আমার কাছে ব্যর্থতার মানে অন্য কিছু। এখন এরা(সমালোচক) নতুন খেলোয়াড়দের যত্ন নিক। অনেক মানুষ আছে যারা সমর্থনের চেয়ে সমালোচনাই বেশি করেছে।’