বিপিএলে এবারও দেখা যাচ্ছে বিদেশি ক্রিকেটারদের দাপট। দেশিদের নৈপুণ্য চোখে পড়ছে কম। বিপিএলে বিদেশি তারকাদের সঙ্গে সমানতালে লড়তে দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আরেকটি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরামর্শ দিলেন শাহরিয়ার নাফীস। যেটি হতে পারে বিপিএল-প্রস্তুতির আদর্শ মঞ্চও। এটি নাফীসের ব্যক্তিগত ভাবনা হলেও ঘরোয়া টি-টুর্নামেন্ট এখন সময়ের দাবি।
বিপিএলের গত আসরে একাদশে পাঁচ বিদেশি খেলায় কমে আসে দেশিদের অংশগ্রহণ। পরে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় কেবল স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত হবে আরেকটি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সেটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
কেনো আরেকটি টুর্নামেন্ট দরকার? প্রসঙ্গ টেনে রাজশাহী কিংসের ক্রিকেটার নাফীস জানালেন নিজের উপলব্ধির কথা।
‘এটা একদমই আমার ব্যক্তিগত ধারণা। আমরা সবসময় গ্লোবাল টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের কথা বলি, দেখে থাকি। আইপিএল বলেন বা বিপিএল, বিপিএল তো অবশ্যই গ্লোবাল টুর্নামেন্ট। এখানে আমরা দেখি, অনেক সময়ই বিদেশি তারকা খেলোয়াড়রা বেশি পারফর্ম করছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে কষ্ট হচ্ছে।’
‘প্রত্যেক দেশের কিন্তু একটা নির্দিষ্ট বা নিজস্ব টুর্নামেন্ট থাকে। আইপিএল নিজেদের অনেক তরুণ ক্রিকেটার পাচ্ছে, তারা প্রচুর টাকা পাচ্ছে। কেননা তারা ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে পারফর্ম করেই আইপিএলে এক্সপোজার পাচ্ছে। আমাদের প্রিমিয়ার লিগের সাথে বা জাতীয় লিগের বা বিসিএলের সাথে যদি একটি ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট থাকত, স্থানীয় ক্রিকেটাররা ওখানে খেলে প্রস্তুত হয়ে, ফরম্যাটটা ভালভাবে বুঝে এসে বিপিএলে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারত বলে আমি মনে করি। এতে পুরো বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি পারফরম্যান্সে উন্নতি হত বলে আমি বিশ্বাস করি।’
ভাবনাটি অবশ্য বাংলাদেশে নতুন নয়। ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট প্রচলন হয় ২০০৬ সালে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ কয়েক মৌসুম হয়েছিল দুই ফরম্যাটে। ওয়ানডে লিগ শেষ হওয়ার পর হত টি-টুয়েন্টি। বিপিএলের বাইরে সবশেষ টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়েছে ২০১৩ সালে। বিপিএল এক বছর বন্ধ থাকায় আয়োজন করা হয়েছিল ওই টুর্নামেন্ট।