জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের প্রথম সিনেমা ছিল আশিকুর রহমান পরিচালিত ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’। ২০১৫ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ওই সিনেমাটি সেভাবে সাফল্য পায়নি।
এ অভিনেতা তার সিনেমার জন্য পূর্ণ মনোযোগ দিলেও মুক্তির পর ফলাফলে খুশী ছিলেন না। মনোযোগী ছিলেন নাটকে। ধীরে ধীরে নিজেকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছেন। প্রায় ছয় বছর পর আবার অপূর্বর সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এবার তিনি শিহাব শাহীনের ‘যদি কিন্তু তবুও’ সিনেমার মাধ্যমে কামব্যাক করছেন।
৩০ মার্চ এ সিনেমাটি ভারতীয় ওটিটি প্লাটফর্ম জি ফাইভে মুক্তির কথা রয়েছে। যেখানে অপূর্বর বিপরীতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া।
করোনার ধকল কাটিয়ে কয়েক ধাপে অপূর্ব সিনেমাটির পুরো কাজ শেষ করেছেন। মুক্তির দিন যতই ঘনিয়ে আসছে অপূর্ব তার দ্বিতীয় সিনেমাটি নিয়ে ততই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে আলাপে তিনি জানান, প্রথম সিনেমার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। প্রথম সিনেমাতে যে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন, এবার সেই ভুল করেননি।
‘যদি কিন্তু তবুও’ সিনেমাটি করার দুটো কারণ জানিয়ে অপূর্ব বলেন, প্রথমত সিনেমাটির অসাধারণ গল্প, দ্বিতীয়ত শিহাব শাহীন ভাই যাকে আমি সবসময় গুরু মানি। তাকে বিশ্বাস করেই সিনেমাটি করেছি।
তিনি বলেন, কাজটি করতে গিয়ে অনেক ধকল গেছে, সময় লেগেছে। তারপরও সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটা কাজ হয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে বলবো। কাজ করে তৃপ্তি পেয়েছি। এখন দেখার পালা দর্শকরা সেটিকে কীভাবে গ্রহণ করে! তবে আমার অভিজ্ঞতা বলছে যে, সিনেমাটি দেখে দর্শক মজা পাবে।
প্রথম সিনেমা মুক্তির পর বড়পর্দায় অসংখ্য সিনেমায় কাজের প্রস্তাব গেছে অপূর্বর কাছে। সেগুলো এ অভিনেতার ‘মনের মত’ নয় বলে জানালেন। প্রথম সিনেমার তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে অপূর্ব বলেন, ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’র গল্প ছিল খুবই সুন্দর। গল্পের মত করে যদি মেকিং কিংবা পোস্ট প্রোডাকশনটা হতো তাহলে সিনেমাটা আরও ভালো করতো। আমাকে সবাই বলতো, ভাইয়া এটা নাটক না, সিনেমা। সিনেমার জন্য আমি নতুন ছিলাম বলে প্রায়ই এই কথাটা শুনতে হতো। তারা কখনও এটা ভাবতো না যে, একটা গল্প বলার কাজ কিন্তু গল্প বলাতেই, আর একজন অভিনেতার কাজ হলো অভিনয় করা। সিনেমা নাকি নাটক ওইভাবে আলাদা করার কিছু নেই। প্রথম সিনেমায় প্রতিটা জায়গাতেই এই কথাটা শুনতে হতো, আমি এখানে নতুন।
অপূর্ব আরও বলেন, শারীরিক আঘাত, কষ্ট নিয়ে সিনেমাটা করেছিলাম। যতটা কষ্ট করে কাজটা করেছি তার আউটপুট ততটা ভালো পাইনি। এডিটিংয়ের মাধ্যমে আরও বেটার অনেক কিছু করা যেত। কিন্তু সেটা তারা করতে পারেনি। প্রথম সিনেমাতে কাজ করে যে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম এরপর থেকে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যখন আবারও সিনেমার প্রস্তাব আসতো, তখনই মনে হতো আবার যাবো, আবার যদি সেরকম কিছু হয়! এত বেশি শিখতে গেলে আবার সমস্যায় পড়বো।
তিনি বলেন, এরপরও ভালো সিনেমার জন্য অপেক্ষা করেছি। দেয়াল ভেঙে বের হওয়ার গল্প চেয়েছিলাম। পেয়েছিলাম কপি, কমন গল্প। এরকম অনেক সিনেমার প্রস্তাব আসতো সেগুলোতে কাজ করতে চাইনি। পরে রিয়ালাইজ করলাম আমি নাটকেই ভালো আছি। এখন যেই অবস্থানে আছি, দর্শকদের যেই ভালোবাসা পাচ্ছি আমি এটা নিয়েই তৃপ্ত।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমি যতটা না যোগ্য তার চেয়েও বেশি ভালবাসা পাচ্ছি দর্শকদের কাছ থেকে। আর তাই আমার দর্শকদের জন্য সিনেমা নিয়ে এই বাজিটা খেলতে চাইনি।