চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘আমি বলে যাব, আবারও বলব’

অ্যাডিলেড থেকে: বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রায়ই কথা বলেন সাবেক ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সাক্ষাৎকারে টাইগার ক্রিকেটের শক্তি, দুর্বলতা, সামর্থ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। এসব কথা সংশ্লিষ্টরা ইতিবাচকভাবে নেবেন বলেই প্রত্যাশা তার। তবে ঘটে উল্টো। মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকারও হতে হয় আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানকে।

আমিনুল ইসলাম বেশ কয়েক বছর হল থিতু হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। আগে থাকতেন সিডনিতে, এখন মেলবোর্নে। ব্রিসবেনে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের পর মুঠোফোনে কথা বলেছেন চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ, বিপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, মিডিয়া সংস্কৃতি থেকে শুরু করে তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে আরও কিছু প্রসঙ্গ।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

বিশ্বকাপ মিশনের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টেকনিক্যাল পরামর্শক নিয়োগকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
আমিনুল ইসলাম: মেয়াদটা কী সেটি কেউ জানে না, শুধুমাত্র বিশ্বকাপ নাকি পরে, তারপর কী হবে আসলে কেউ জানে না। চুক্তিপত্র তো আমরা দেখিনি। যতদূর জানি যে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। সে হেড কোচও কিনা, আমরা জানি না তার আসল ভূমিকাটা কী। আপনি যদি একটা অর্গানাইজেশনের দিক থেকে দেখেন, তাহলে বলব যে এত বড় বিশ্বকাপের আগে এত বড় একটা কাজ, নতুন কনসালটেন্ট যে খেলোয়াড় চেনেই না, এটা একটা বড় ঝুঁকি হয়ে গিয়েছিল। আবার যদি ইতিবাচকভাবে দেখেন, ফ্রেশ আই ছিল তার, যে তথ্য ছিল তার কাছে খোলা চোখ দিয়ে দেখে সেটি সে ব্যবহার করছে। এটার ভালো দিকও আছে খারাপ দিকও আছে। তবে আদর্শ চর্চা সাধারণত যে সব দেশে হয় সেটা হল যে, কোচ এবং খেলোয়াড়ের বোঝাপড়া হওয়ার জন্য একটা সময় লাগে। দলটার মানসিক অবস্থা, টেকনিক বোঝার জন্য সময় লাগে। এই দিক থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা সঠিক পথ নয়।

  • খেলোয়াড়দের দেখে কি মনে হচ্ছে, নতুন কোচের অধীনে নতুন কিছুর বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছেন?
    আমিনুল ইসলাম: এটা খুব কঠিন বলা, খেলোয়াড়দের অ্যাপ্রোচ সাধারণত পরিস্থিতি অনুযায়ী থাকে। তার উপর বেস করে অ্যাকশনগুলো হয়। যদি বলেন যে আজকে তো বাংলাদেশ জিতল, শান্ত ভালো খেলল। ১৫ নম্বর ম্যাচে এসে প্রথম ফিফটি হল, এটাও কিন্তু বলব যে, আমরা খুবই উদার, ১৫ ম্যাচ সুযোগ দেয়ার পর একটা ফিফটি পেলাম। যদি দেখেন বিশ্বকাপ ইভেন্টে সবচেয়ে ধারাবাহিক তাসকিন আহমেদ। তাসকিন ও অ্যালান ডোনাল্ডকে কৃতিত্ব দিতে চাই। এত ইনজুরির পরও তার উন্নতি দেখতে পাচ্ছি। প্রচেষ্টার মাধ্যমে সে এখানে এসেছে। দলের ফিল্ডিং কোনো দিন ভালো, কোনো দিন ভালো না। একটি টি-টুয়েন্টি টিমে যেমন ধারাবাহিকতা থাকে সেটি কিন্তু নেই। আর ব্যাটিংয়ে আজকেই শুধু দেখলাম একজন ওপেনার অনেকক্ষণ খেলল। এশিয়া কাপ বলেন, ত্রিদেশীয় সিরিজ বলেন, বিশ্বকাপ বলেন, তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন কোনো বিভাগেই দেখিনি। আর দুটো দল যারা নাকি কোয়ালিফায়িং রাউন্ড খেলে এসেছে, একটা নেদার‌ল্যান্ডস আরেকটা জিম্বাবুয়ে। এ দুটি জয় দিয়ে যাচাইও করতে চাই না জেতার জন্য আমরা ভালো টিম হয়ে গেছি বা তার কোচিংয়ের বড় ইমপ্যাক্ট পড়েছে দলের মধ্যে।

এখন ক্রিকেট প্রচুর হয়। সামনে ব্যস্ত সূচি। কোন সংস্করণকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের আগানো উচিত বলে আপনি মনে করেন?
আমিনুল ইসলাম: আমার মনে হয় এখন শুধুমাত্র এই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপটাই ফোকাস করা উচিত। যেহেতু আমরা দুটি ম্যাচ জিতে গিয়েছি। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে জিততে পারি তাহলে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগও হতে পারে। টি-টুয়েন্টি সংস্করণে আমাদের ২৬-২৭টা ম্যাচ দেখেন, আমরা কিন্তু ৭৫ শতাংশ ম্যাচ হেরে গিয়েছি। আর যদি টেস্ট ম্যাচ দেখেন, ভালো করতে পারছি না। নিয়মিতই হারছি। ওয়ানডে ক্রিকেটে শক্ত জায়গা আমাদের, এখানেও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছি। তিনটা ফরম্যাটের জন্য যে পরিমাণ খেলোয়াড় দরকার হয়, এটা তিন ধরনের ফরম্যাটে তিন ধরনের খেলোয়াড় দরকার হয় স্পেশালাইজেশনের জন্য। সে লক্ষ্যে কিন্তু এত খেলোয়াড় নেই। দেখা যাচ্ছে যে এক ধরনের খেলোয়াড়ই সবধরনের ফরম্যাটে খেলছে। এক খেলোয়াড়ই সব ফরম্যাটের মূল খেলোয়াড় হচ্ছে। আমার যেটা মনে হয় এত খেলার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার হয় তিন ফরম্যাটে, পর্যাপ্ত ঘরোয়া ক্রিকেট হয় না যে ওই খেলোয়াড় তৈরি হয়ে আসবে বা তৈরি করার জন্য যে প্রক্রিয়া থাকা উচিত সেটি নেই বলে দেখা যাচ্ছে সাফল্যে অত ধারাবাহিকতা নেই। খেলোয়াড় স্বল্পতা আরেকটি হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটে যে প্রতিযোগিতামূলক খেলা খেলতে হয় সেটি হয় না। দুটি কারণেই আমাদের মূল সমস্যা। যখন জাতীয় দলে একটা ছেলে খেলতে আসে তখন ওই খেলোয়াড়ের ভুলগুলো ধরি, কোচের ভুল ধরি, পরিকল্পনার ভুল ধরি, কিন্তু প্রথমে এই কাঠামোর জায়গা ঠিক করা উচিত। আমরা যখন ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাই তখন কিন্তু পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলাম আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য, তার একটা অন্যতম বড় ব্যাপার ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেটের মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়া। আইসিসিতে যে পেপারটা আছে সেটি পড়লে দেখবেন আমরা ক্রিকেটটাকে বিকেন্দ্রীকরণ করব বা রিজিওনাল ক্রিকেটকে ঢেলে সাজাব। এখনও কিন্তু মিরপুর স্টেডিয়ামে নির্বাচকরা বসে বসে রংপুরের দল বানায়, খুলনার দল বানায়। এরকম হলে প্রতিযোগিতামূলক যে লোকাল ক্রিকেটের ব্যাপারটা, সেটি থাকে না। আমরা কিন্তু বরাবরই বলে আসছি আমাদের উইকেটের সমস্যা। অস্ট্রেলিয়াতে আসার আগে দেশে বাউন্সি উইকেট হওয়া উচিত ছিল বা সেখানে ট্রেনিং করা উচিত ছিল। টেস্টে ভালো করতে হলে ছোটবেলা থেকেই খুব শক্ত হতে হয়, প্রোপার কোচিং সিস্টেম থাকতে হয়। একটা সঠিক পাথ হয়ে থাকতে হয়। একটা ছেলে শুরু করল সে জাতীয় দলে খেলবে, এখানে পরিষ্কার একটা চিত্র থাকতে হবে। ওই ধরনের কিছু আমাদের এ মুহূর্তে নেই।

  • দেশের ক্রিকেট নিয়ে কথা বললে বা কারো সমালোচনা করলে পাল্টা আক্রমণের শিকার হতে হয় আপনাকে। এ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
    আমিনুল ইসলাম: আমার তো মনে হয় সবাই এটি ইতিবাচকভাবেই নেয়। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় হল আমি বাংলাদেশ দলে ১৭ বছর খেলেছি। বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলাম। দেশের মায়া বলেন, শুভ কামনা বলেন, যারা খেলে তাদের থেকে বেশি আর কারও হয় না। যেগুলো অনেকদিন ধরে বলে আসছি কিছু কিছু জায়গায় বা প্রায় বেশিরভাগ জায়গায় ফলে যাচ্ছে। আমি যেসব কথা বলি বাংলাদেশের ক্রিকেটের দর্শক যারা আছে যারা ভালোবাসে তাদের কথা ভেবেই বলি, আমি তো আর জাতীয় দলে খেলব না, ভাই। একটা ব্যাপার হচ্ছে আমি মনে করি বলা আমার দায়িত্ব। ক্রিকেটের সাথে আমি কোনকিছু মেলাই না। আমি যা কিছু পেয়েছি সব ক্রিকেট থেকে। কাজের সাথে আমি বেঈমানি করতে পারব না। আমি বলে যাব, আবারও বলব। অনেকে সাময়িক, কিন্তু আমরা যারা জাতীয় দলে খেলেছি ক্রিকেটকে ভালোবাসি আমরা পার্মানেন্ট, এটা বলেই যাব। আপনারা যে জায়গাটায় আছেন, বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন দায়িত্ব আছে। আমার কাছে মনে হয় যে ক্রিকেটের যে রিপোর্টিং হয় তাতে মনে হয়, আমরা ক্রিকেট থেকে সরে গিয়েছি। কে কোথায় দাওয়াত খেতে গেলো, কে কোথায় বেড়াতে গেল, কে জার্সি পেল না। এই ধরনের কথা বলে আমরা আসল ক্রিকেট থেকে অনেকদূরে সরে গিয়েছি। আমরা একবারও বলছি না যে তাসকিনের আউটসুইংটা কেমন ছিল, শেষ ওভারে বল করার সময় মোসাদ্দেকের মানসিক অবস্থাটা কেমন ছিল। আমাদের শান্ত যে কিছু বিউটিফুল কাভার ড্রাইভ খেলল বা সৌম্য সরকার বল থেকে দূরে সরে কেন খেলল- এই জিনিসগুলো আজকাল আমরা খবরের কাগজে দেখি না। দেখা যাচ্ছে ব্যক্তিপূজার মতো করি, একটা লোককে বা দুইটা লোককে, আমার খারাপ লাগে যে জায়গাটায়, বাংলাদেশ জাতীয় দল যখন খেলে তখন দেখি অমুকের দল হেরেছে এভাবে শিরোনাম হয়। অমুকে এটা করেছে। এটা ঠিক না। আমার মনে হয় ক্রিকেট খেলাটায় ফোকাস আরও বাড়ানো উচিত। যাতে দর্শকরা খেলাটার প্রতি আরও আগ্রহী হয়।

তাসকিনকে নিয়ে তো বললেনই, নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
আমিনুল ইসলাম: বেচারা (তাসকিন) তো প্রায়ই ইনজুরিতে পড়ে থাকে। ফাস্ট বোলারদের এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দেশে নিউট্রিশন বা শারীরিক ক্ষমতা অতটা থাকে না। তাসকিন ২০১৪ সালের পর আবার যেভাবে ফিরে আসছে অরিজিন্যাল ফর্মে। আমি মনে করি একটা বোলারের উপর কিন্তু মারাত্মক চাপ থাকে। আজকাল বেশিরভাগই ব্যাটসম্যানদের পক্ষে থাকে। একটার বেশি বাউন্সার করতে পারবেন না, বিমার করতে পারবে না। এই জায়গাগুলো বোলারদের দিকে থাকে না। পাওয়ার-প্লে রয়েছে। তাসকিন বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম ফাস্ট বোলার। শুধু ফাস্ট বোলার না তার অ্যাগ্রেশন, এটিচ্যুড, ব্যক্তিত্ব, সব মিলিয়ে সফল একজন বোলার। আমি দোয়া করি সে যেন দেশকে আরও কিছু দিতে পারে। আর শান্তর ব্যাপারটা, যারাই জাতীয় দলে খেলে তারা সবাই প্রতিভাবান। প্রতিভাবান না হলে জাতীয় দলে কেউ খেলতে পারে না। যখন একজন খেলোয়াড়কে দেখি টেস্ট এভারেজ হচ্ছে ২৬, ওয়ানডেতে ১৪ আর টি-টুয়েন্টিতে ১৮ এবং ১৫ নম্বর ম্যাচে এসে ফিফটি পেল, তাকে নিয়ে আমি এ মুহূর্তে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আরও কিছুদিন দেখব। আমি বলব এরা ভাগ্যবান যে এত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে।

  • এবারের বিশ্বকাপ ঘিরে আপনার প্রত্যাশা কতটা উঁচুতে?
    আমিনুল ইসলাম: আমাদের সামনে যে দুটি ম্যাচ আছে জেতা অসম্ভব কিছু না। জিম্বাবুয়ে তো পাকিস্তানকে হারালো, আয়ারল্যান্ড তো ইংল্যান্ডকে হারালো, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালো। নামিবিয়া তো শ্রীলঙ্কাকে হারালো। আমরা হয়ত অনেক ভালো খেলছি না ধারাবাহিকভাবে। তারপরও আমি বলব সুযোগ আছে এবং সুযোগ আছে ওই হিসেবেই যাওয়া উচিত। বাংলাদেশ দারুণভাবে কামব্যাক করেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। অবিশ্বাস্য রকমের চাপে ছিল সাউথ আফ্রিকার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর। বলতে শুনেছি আমরা আগামী বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরি করছি। সেটার বাইরেও যে তারা তাদের মনোবলটা ম্যাচের মধ্যে নিয়ে এসেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করব যে দুটি ম্যাচ ভালো খেলে সুযোগটা যেন তৈরি করতে পারি। কারণ অস্ট্রেলিয়া আমাদের জন্য একটা লাকি ভেন্যু। এর আগেও এখানে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছি।

ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে আমাদের ভাবনা কি হওয়া উচিত? বিসিবি বিদেশি লিগে খেলাকে অনুৎসাহিত করত, এখন বলা হচ্ছে এখানে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে।

আমিনুল ইসলাম: দুটি ব্যাপার আছে এখানে। এক নম্বর হল কোনো চিন্তা-ভাবনা না করেই কথা বলে দেয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট কান্ট্রি টু কান্ট্রি দ্বিপাক্ষিক খেলা না। একটা কোম্পানি দল তৈরি করে। এটা তো ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর নির্ভর করবে। ভালো ক্রিকেটে তিন-চারটা লিগ হয়। আমাদের সেরা খেলোয়াড় লিটন দাসের গড় হচ্ছে ২০। এসব ক্রিকেটে আমাদের চাহিদা আছে কিনা সেটিও বোঝার প্রয়োজন আছে। এই ধরনের কথা না বলে আমরা নিজেরা দেশের ক্রিকেট উপজেলা, জেলা, বিভাগে, জাতীয় লেভেলে নিজেরাই যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে হয়ত আমরা আরও অনেকবেশি ক্রিকেটার সুযোগ করে দিতে পারব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। ভালো মানের বিদেশিদের দেশে এনে ভালো টুর্নামেন্ট করতে পারব। আমার মনে আছে বিপিএল যখন শুরু হয়েছিল তখন লিপু ভাই (গাজী আশরাফ হোসেন) সম্ভবত এটার চেয়ারম্যান ছিল। আইপিএলের পরই আমাদের ইভেন্টটা ছিল। তারপর আজকে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে দেখতে পারছি তো! ক্রিকেটার প্রয়োজন সব ঠিকভাবে চালাতে গেলে। অন্যান্য লিগে আমাদের ডিমান্ড কতটা আছে আর খেলিয়ে ইনজুর্ড করে দেয়ারও মানে কী আছে। আরেকটা হল সহজ যে সলিউশন, দেশব্যাপী এই ফরম্যাটটা বেশি করে চালু করলেই হয়ে গেলো, কেন আপনাকে বিদেশে খেলতে হবে।