উপমহাদেশের প্রখ্যাত নির্মাতা সত্যজিৎ রায়। তার সম্পর্কেই জাপানের কিংবদন্তি নির্মাতা আকিরা কুরোসাওয়া বলেছিলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা যে দেখেনি, সে পৃথিবীতে বাস করেও চাঁদ-সূর্য দেখেনি।’ নির্মাতাদের কাছে অনুপ্রেরণার নাম সত্যজিৎ। আর এই কিংবদন্তি নির্মাতার ‘পথের পাঁচালী’ নাকি ৫০ বারের চেয়েও বেশি দেখেছেন ইরানের প্রখ্যাত নির্মাতা মাজিদ মাজিদি।
সম্প্রতি নিজের প্রথম ভারতীয় ছবি ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’-এর প্রচারণায় এসেছিলেন সত্যজিতের শহরে। আর সেখানে এসেই যেন সত্যজিতের প্রতি মুগ্ধতার কথা অকপটে বললেন ‘বারান’ খ্যাত ইরানি এই নির্মাতা।
ছবির প্রচারে কলকাতায় এসে তিনি জানান, ছবির প্রচারণার পাশাপাশি এই শহরে আসার আরও একটি কারণ হল এই শহরেই অস্কার জয়ী পরিচালক সত্যজিত রায় জন্মেছেন।
ইরানি ছবির বাইরে এই প্রথম কোনো ভিনদেশি সিনেমার প্রতি আকৃষ্ট হওয়াও কারণ জানিয়ে মাজিদি বলেন: সত্যজিত রায় আমাকে ভারতীয় ছবি করার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমি সত্যিই তার ছবি খুব পছন্দ করি। সত্যজিত রায়ের পথের পাঁচালী আমার খুব প্রিয় সিনেমা এবং আমি প্রায় ৫০ বার সিনেমাটি দেখেছি। কিন্তু যখনই সিনেমাটি দেখি মনে হয় নতুনভাবে তা দেখছি।
দুই ভাই–বোনের সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’। পুলিশ যখন মুম্বাইয়ের মাদক পাচারকারী ১৯ বছরের আমিরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে, তখন ভাইকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বোন তারা তাঁর ভাই আমিরকে বাঁচাতে নিজে জেলে চলে যায়। বোনের এই পরিণতি আমিরকে এক নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন করে। এই ছবিটি ভারতের বেশ কিছু বাস্তব পরিস্থিতিকে সামনে এনেছে। যা খুব সুন্দরভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।