চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আমিরাতের লিগে একই দলে সাকিব-স্মিথ-আফ্রিদি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঘরোয়া লিগ টি-টুয়েন্টিএক্সে স্টিভেন স্মিথ ও শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে একই দলে খেলবেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তাদের দলে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলও।

কয়েকদিন আগেই আবুধাবিতে একটি শর্টার ভার্সন টুর্নামেন্টে খেলতে চেয়ে বিসিবির কাছে আবেদন করেন সাকিব। প্রথমে জানা গিয়েছিল সাকিবকে অনাপত্তিপত্র দেবে না বিসিবি। কারণ তার আঙুলের চোট নিয়ে বোর্ড খুবই চিন্তিত।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

মঙ্গলবার জানা যায়, শর্তসাপেক্ষে আরব আমিরাতে খেলার অনাপত্তিপত্র পাচ্ছেন দেশসেরা এ অলরাউন্ডার। বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেন, ‘আমরা তাকে অনাপত্তিপত্র দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু সে খেলতে পারবে কেবল ফিট থাকলেই। ফিট না থাকলে খেলতে পারবে না। তাহলে অনাপত্তিপত্র নিয়েও লাভ নেই। রিপোর্ট দেবে মেডিক্যাল বোর্ড। ওটা পজেটিভ থাকলে আমরা তাকে অনাপত্তিপত্র দিয়ে দেব। এ ব্যাপারে বোর্ডের ইতিবাচকতা আছে।’

আকরাম খান শর্তসাপেক্ষে অনাপত্তিপত্র দেয়ার কথা বললেও ইএসপিএন-ক্রিকইনফো বুধবার জানাচ্ছে, আরব আমিরাতের টি-টুয়েন্টিএক্সে অংশগ্রহণের জন্য বিসিবি সাকিব আল হাসানকে অনাপত্তিপত্র দিয়ে দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ডাক্তার দেখিয়ে দেশে ফিরে সাকিব বিশ্রামে আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিনি বিশ্রামে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও তাকে পাওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। কিন্তু ক্রিকইনফো বলছে, ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে থাকা সাকিব ২৩ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আরব আমিরাত টুর্নামেন্টে খেলতে প্রস্তুত। এই টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র একদিন আগেই শেষ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফর।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফর শেষ হবে ডিসেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে। আরব আমিরাতের টুর্নামেন্ট ১৯ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ জানুয়ারি। এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সময়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বিপিএল।

অনাপত্তিপত্র পেয়ে সাকিব ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘আমি ও ফিজিও আমার ক্রিকেটে ফেরার জন্য কোনো সময় না বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগিরই আমি অনুশীলন শুরু করব। যদি কোনো সমস্যা না মনে হয়, খেলায় ফেরার কথা চিন্তা করব। তার আগে আমিও মাঠে নামব না, ফিজিও আমাকে নামতেও দেবেন না।’

সাকিব আরব আমিরাতের টুর্নামেন্ট নিজেকে ঝালিয়ে নেয়ার আরেকটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন, ‘এই ম্যাচগুলোয় ফিট থাকলে আমার জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। বড় একটি ইনজুরির পর ম্যাচগুলো খেললে আবারও ছন্দে ফিরতে পারব আমি।’

গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আঙুলে চোট পান সাকিব। মার্চে নিধাস ট্রফি দিয়ে দলে ফেরার পর টানা সাত মাস খেলেন। গত এশিয়া কাপে আঙুলের চোট গুরুতর অবস্থা ধারণ করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল হয়ে ওঠা ম্যাচে না খেলেই দেশে ফিরতে বাধ্য হন। আঙুলে মারাত্মক সংক্রমণ হওয়ায় ঢাকার একটি হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা নেয়ার পর সাকিব অস্ট্রেলিয়াতে যান আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে। অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকরা বলেছেন, আঙুলে আপাতত অস্ত্রোপচার লাগবে না। সাকিব এখন পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন।