বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও তার সমাধানের ব্যাপারে বলেছেন: তার পক্ষ থেকে কখনও চেষ্টার ত্রুটি ছিল না।
সোমবার অনুষ্ঠিতব্য ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ রোববার একথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন: ‘বিভিন্ন সময় অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেখা দেয়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে বলেছি। এই কিছুদিন আগেও (জুন) কিন্তু ৫ দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি যদি আন্তরিক না হতাম, আমি তো চেষ্টার ত্রুটি করিনি। সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি। উনি নির্দেশ দিয়েছিলেন শনিবার ক্লাস শুরু হবে, তাই হয়েছে।’
‘কিন্তু বাস্তবতা তো অনেক কঠিন। অনেক সমস্যা থাকে, যেগুলোর সব কথা বলা যায় না। সব সমস্যার সবসময় সমাধানও করা যায় না। তবে আমার পক্ষ থেকে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না,’ বলেন তিনি।
ভিসি বলেন, ১০/১৫ দিন আগেই তিনি পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক জটিলতা দেখা দেয় বলে তার আশঙ্কা হয়েছিল। আর এজন্য যেন কিছু ঘটলে পুলিশের সহায়তা দ্রুত পেতে পারেন সেজন্যই আইজিপির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।
ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে উপাচার্য বলেন: ‘আমার একার আন্তরিকতা থাকলে হবে না, সরকারেরও সাপোর্ট লাগবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের শতভাগ সহযোগিতা করেছেন। এজন্যই বুয়েটে রাজনীতি বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পেরেছি।’
তিনি জানান: বুয়েটের নীতিমালার মধ্যে বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক ক্লাব, ইত্যাদি গঠন করা যাবে না। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা হবে কিনা এটা একান্তই বুয়েটের ব্যাপার, সেজন্য ওই নীতিমালার আলোকে ভিসি রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা দেন।
‘আমি আমার ক্ষমতায় বন্ধ করলাম। এখন সরকারের ক্ষমতা তো আছেই। আমার ক্ষমতা তো সরকারের ক্ষমতার ওপরে না। তাই আমি এখনকার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমার ক্ষমতায় যতটুকু পেরেছি করেছি। ছাত্রদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য আমি আছি, আমি যা পেরেছি করেছি,’ বলেন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।