রাসেল ডমিঙ্গো বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলেন ২০০৪ সালে। সাউথ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হয়ে। পরেও এসেছেন কয়েকবার। এবার টাইগারদের হেড কোচ হয়ে আসা এ প্রোটিয়া। সঙ্গত কারণেই সংবাদমাধ্যমের প্রবল আগ্রহ তাকে ঘিরে। যা রীতিমতো অবাক করেছে নতুন হেড কোচকে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিমানবন্দরে নেমে দেখেছেন সাংবাদিকদের ভিড়। বুধবার সকালে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢুকে দেখেন তার সামনের কোনো আসনই ফাঁকা নেই। উপস্থিত দেশের প্রায় সকল মিডিয়া। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো জানালেন, ক্রিকেট নিয়ে এদেশের মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার ব্যাপারটি আগ্রহ তৈরি করেছে বাংলাদেশের কোচ হতে।
‘২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশে এসেছিলাম, অবশ্য সেটি অনেক আগের কথা। সত্যি বলতে ক্রিকেট নিয়ে এদেশের মানুষের আগ্রহ এতটাই প্রবল যে আমাকে এটি ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। সাউথ আফ্রিকার কোনো প্রেস কনফারেন্সে আপনি সর্বোচ্চ আট-নয়জন সাংবাদিক দেখবেন। আমি আমার জীবনে এত প্রতিবেদক দেখিনি! গতকাল বিমানবন্দরে প্রায় একশ সাংবাদিক ছিল। এই অঞ্চলের এই বিষয়টি আমাকে আকর্ষণ করে।’
ডমিঙ্গোর কর্মপরিকল্পনা শুনেই বিসিবি বুঝে গিয়েছিল কোচিং নিয়ে প্রবল আগ্রহের ব্যাপারটি। যে কারণে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে হেড কোচ হিসেবে। সুযোগ পেলেই তাই সাংবাদিকরা সেই কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইছেন নতুন কোচের কাছে। তিনি কিছুটা আগ্রহ মেটালেনও।
‘এটা খুবই মজার যে সবাই আমাকে প্রেজেন্টেশন নিয়ে প্রশ্ন করছে। কারণ আমি ক্রিকেটের বিভিন্ন পর্যায় নিয়ে কাজ করেছি। অনূর্ধ্ব -১৫, ১৯ এবং আন্তর্জাতিক। জানি কীভাবে কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে হয়। সত্যি বলতে আমি কোচিংয়ের পদ্ধতির ব্যাপারে খুবই সচেতন এবং মনে করি এটা জাতীয় দলকে গুরুত্ব দিয়েই করতে হবে। প্রেজেন্টেশনটি ছিল কী করে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের উন্নতি করানো যায় এবং একটি টেকশই উন্নয়নের পথে দলকে নিয়ে যাওয়া যায়।’