এই মন্তব্য তো উনারা একজন মন্ত্রী হিসেবে দেননি। বরং দিয়েছেন একজন বিচার প্রত্যাশী হিসেবে। তারা যেসব কথা বলেছেন তা শুধু তাদেরই কথা নয়, এগুলো সবারই কথা, আমাদেরও কথা। তাহলে শুধু তাদের দুজনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলো কেন? আমাদের কাছেও ব্যাখ্যা চাইতেন আদালত। মীর কাশেম আলীর ব্রিটিশ লবিস্ট টমি ক্যাডম্যান, যার লেখার রেশ ধরেই এতসব ঘটনা, তার কাছেও ব্যাখ্যা চাইতেন।
মীর কাশেম আলীর আপিল মামলায় সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে মন্তব্য করার কারণে ১৫ মার্চ দুই মন্ত্রীকে আদালতে তলব করার সিদ্ধান্ত জানার পর প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রঃ সরকার, বিচার বিভাগ ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে মন্তব্য করেই আদালতের নির্দেশ পান দুই মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির বলেন, ওখানে তো শুধু তারা দুজনই বক্তব্য দেননি। আমরা অনেকেই দিয়েছি। তাহলে শুধু তাদের নামেই সমন জারি হলো কেন? তাছাড়া তারাতো পরিস্কার করেই বলেছিলেন এটা তাদের ব্যক্তিগত মতামত। একজন মুক্তিযোদ্ধা অথবা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হিসেবে মন্তব্য করছেন। কোনো মন্ত্রী হিসেবে বা সরকারের অংশ হিসেবে নয়।
এসময় আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বিচারকরা সবসময় সবার ঊর্ধে থাকুক। ট্রাইব্যুনালের প্রতিও আমরা শ্রদ্ধাশীল। তবুও এমন ঘটনাকে আমরা আমাদের দুর্ভাগ্য হিসেবেই মনে করছি।’