দুর্জনদের নানান কুকথা, চিরকুমার সংঘের হতাশা আর কিছু প্রিয় মানুষের শুভকামনা নিয়েই একবছর আগের এই দিনে স্রোতের বিপরীতে চলার সাহস দেখিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
সংসদ অধিবেশনেও টিপ্পনী শুনতে হয় তাকে। শত বাঁধা পেরিয়ে ২০১৪ সালের আজকের এই দিনে তিনি ঘরে তুলে এনেছিলেন স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তাকে। সুখে-দু:খে একটা বছর একসঙ্গে পেরিয়ে এলেন এই জুটি।
৬৭ বছরের বর আর ৩১ বছরের কনে। জুটিটা একটু ভিন্নরকম হলেও, সেটা যে সুখের পরীক্ষায় বেশ উৎরে গেছে তা বোঝা যায় প্রথম বিয়ে বার্ষিকীতে জামাইয়ের মন্তব্য শুনে। নিজেদের বিবাহবার্ষিকীতে চ্যানেল আই অনলাইনকে মুজিবুল হক বলেন, আমরা ভালো আছি। খুব ভালো আছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছেলে ৬৭ বছর বয়সী রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর তার নিজের জেলা চান্দিনার মিরাখলা গ্রামের মৃত হাবিব উল্লাহ মুন্সির ছোট মেয়ে হনুফা আক্তারকে বিয়ে করেন। পেশায় একজন আইনজীবী হনুফা আক্তার।
কথায় বলে, বিপদই চেনায় সঠিক আপনজন। এই জুটিও যে বেশ সুখে শান্তিতে, ভালোবাসাময় জীবন কাটাচ্ছেন তা উপলব্ধি করা যায় এই বছরের জুলাইতে।
সেই সময়ে একবার মুজিবুল হক চূড়ান্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে, সেবা-যত্ন দিয়ে সুস্থ করে তোলেন হনুফা। পরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে রেলমন্ত্রী অবশ্য সেই জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন স্ত্রীর কাছে।