অমিতাভ রেজার বানানো আয়নাবাজি সিনেমাটি দর্শকদের মনে বাংলা সিনেমার প্রতি আবারও নতুন করে ভালোবাসার জন্ম দেবে বলেই মনে করছেন সিনেমাবোদ্ধারা। সিনেমা দেখে এসেও তাই সিনেমাটি নিয়ে নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন অনেকে। এবার বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে নিজের মনোভাব জানালেন ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’এর সমন্বয়ক শাহানা হুদা।
ফেসবুকে এক পোষ্টে তিনি লিখেছেন, এরকম সিনেমা বানালে আমরা দর্শকরা, যারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা প্রায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি, তারা আবার হলে গিয়ে সিনেমা দেখবো। এখন ভালো ইংরেজী সিনেমা বা জঙ্গল বুকের মতো সিনেমা রিলিজ পেলে দৌঁড়ে যাই। কিন্তু বাংলা সিনেমা দেখতে যাইনা। কেন যাইনা? প্রশ্নটা করছি আমাদের সিনেমা নির্মাতাদের। যদিও তারা অনেকেই মনে করেন ভারতীয় বাংলা সিনেমা তাদের বাজার নষ্ট করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের এই মতের সাথে একমত নই।
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জগতে আলতু-ফালতু, মারদাঙ্গা সিনেমা যেমন আছে, তেমনি আছে অপূর্ব সব কাহিনী ভিত্তিক ছবি। যা দেখলে আপনার ভালো লাগবে। প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণাকে দিয়ে নাচে গানে ভরপুর সিনেমা যেমন বানিয়েছে, তেমনি বানিয়েছে চোখের বালি, কাকাবাবু, রাজকাহিনী, দহন, দোসর। আমি একজন সাধারণ দর্শক, আমার কাছে যা ভালো লাগবে, আমি তাই দেখবো। যেমন দেখি অন্যান্য দেশের ছবি। আমরা লাইন দিয়ে টিকেট কেটে গেরিলা দেখেছি, দেখেছি আগুনের পরশমণি, দেখেছি মনপুরা, চিত্রা নদীর পাড়ে, মনের মানুষ, হঠাৎ বৃষ্টি, আমার আছে জল।
সবশেষে সাবেক এই সাংবাদিক লিখেছেন, সালমান শাহ-মৌসুমীর অনেক সিনেমাই হলে গিয়ে দেখেছি। আর ৬০ কিংবা ৭০ এর দশকের কবরী-ববিতা-রাজ্জাক-সোহেল রানা বা জাফর ইকবালের ছবি এখনও কোনো টিভি চ্যানেলে দেখালে, আমি বসে পড়ি দেখার জন্য। কাজেই সিনেমা ভালো হলে আমরাই ভীড় করে দেখতে যাবো। আমাদের সিনেমা হলে নেয়ার দায়িত্ব নির্মাতাদের, অভিনয় শিল্পীদের দিয়ে অভিনয় আদায় করার দায়িত্বও তাদের। শুধু শুধু দর্শককে দায়ী করবেন না।