চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আমরা এগিয়ে যাব

গত ৭ বছর ধরে দায়িত্বশীলতার সাথে দ্রুত, সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসা চ্যানেল আই অনলাইন আজ ৮ বছরে পা রাখলো। টেলিভিশন হিসেবে চ্যানেল আই সুদীর্ঘ বছর দেশের মানুষের আস্থা এবং ভালোবাসা অজর্ন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আজকের দিনে আত্মপ্রকাশ ঘটে চ্যানেল আই অনলাইনের।

সেই প্রথমদিন থেকেই সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে নিজস্ব ধারা তৈরি করেছি আমরা। বিশেষ করে যে কোনো তথ্য হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই প্রচার না করে বরং সত্য/মিথ্যা যাচাই করে সাংবাদিকতার সব নীতিমালা অনুসরণ করে সেটা প্রকাশ করা হয়েছে। সেজন্য কোনো কোনো প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হলেও একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল সঠিক তথ্য পাঠক-দর্শকের কাছে নিয়ে গেছে চ্যানেল আই অনলাইন।

শুরু থেকেই সংবাদ পরিকল্পনা এবং উপস্থাপনে নতুনত্বের পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া ও ডিজিটাল কন্টেন্টে গুরুত্ব দিয়েছে চ্যানেল আই অনলাইন। তাই অল্প সময়ের মধ্যে পাঠক-দর্শকপ্রিয়তাও পেয়েছে।

এটা ঠিক, দেশের শত শত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া বেশির ভাগই সাংবাদিকতার নূন্যতম নীতিমালা বা বস্তুনিষ্ঠতার তোয়াক্কা করে না। কেউ কেউ আবার চলে অন্য সংবাদ মাধ্যমের কনটেন্ট ‘কাট এবং পেস্ট’ করে। সেই জায়গায় চ্যানেল আই অনলাইন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বজায় রেখে চলেছে। এমনও দেখা গেছে, চ্যানেল আই অনলাইনে প্রকাশিত অসংখ্য প্রতিবেদন কাট-পেস্ট করে প্রকাশ করেছে বহু নিউজ পোর্টাল।

বিগত দুই দশকে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ধারণা যেমন পাল্টেছে, তেমন পাল্টেছে তার উপস্থাপনের ধরনও। আগের দিনের গতানুগতিক সাংবাদিকতাকে পেছনে ফেলে শুরু হয় নতুন দিনের, নতুন সময়ের সাংবাদিকতা। প্রতি মুহূর্তের তথ্য পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ‘নিউ মিডিয়া’ বা মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম। যেখানে রয়েছে ‘গেটকিপিং’ বা নির্ভুল তথ্য প্রকাশের বিশাল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ শুধু কি নির্ভুল তথ্য প্রকাশের? আমাদের ‍উত্তর, না। কেননা এখানে সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতম আরও অনেক বিষয় আছে। সেখানে পাঠক-দর্শকের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চ্যানেল আই অনলাইন।

বর্তমান সময়ে মূলধারার গণমাধ্যমকে বড় ধরনের চাপে ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ বা সোস্যাল মিডিয়া। ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের সহজলভ্যতার কারণে কোনো একটি ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা শেয়ার হয়ে যায়। এরপর ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষের কাছে। এমন প্রেক্ষাপটে দায়িত্বশীল মূলধারার সংবাদ মাধ্যমকেও তার সাথে পাল্লা দিতে হচ্ছে। তবে সাংবাদিকতার সব ধরনের নীতিমালা, নিয়ম-কানুন মেনে।

আমরা সেই জায়গা থেকেই পাঠক-দর্শকের আস্থা তৈরি করতে পেরেছি। চ্যানেল আই অনলাইনের সংবাদকর্মীরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবে। পাঠক-দর্শকের আস্থাই আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা।