ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দুর্দশার চিত্র মঞ্চস্থ হয়েছিল শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে, ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে। চট্টগ্রামে শেষ দুই ম্যাচে দৃশ্যপট খানিকটা বদলালেও সেরা ছন্দে ফিরতে পারেনি সাকিব আল হাসানরা। ফাইনালের আগে রাসেল ডমিঙ্গোর আশা সামর্থ্যের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে এই অবস্থা থেকে বের হবে দল।
উইকেট হাতে রেখে ঝড়ের বেগে রান তোলার দাবি মেটানো যাচ্ছে না শুরুতেই ভজঘট লেগে যাওয়ায়। বাংলাদেশ কোচ তাকিয়ে এবার ফাইনালের দিকে। তার আশা, শিষ্যরা শিরোপা লড়াইয়ে নেমে করবে প্রত্যাশিত ব্যাটিংটাই।
‘আমরা এখনও নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে পারিনি। কিছু কিছু জায়গায় আমরা ভালো ছিলাম, কিছু ক্ষেত্রে গড়পড়তা। আমরা এখনও সেরা খেলাটা দেখানোর পথ খুঁজছি। যেমন, কেবল ২ উইকেট হারিয়ে শেষ ৫-৬ ওভারে যেতে পারিনি। প্রথম ১০ ওভারে অনেকবেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের চাওয়া, ২ উইকেট হারিয়ে ১৫ ওভার শেষ করা। তাতে শেষদিকে ঝড় তোলার ভিত গড়ে উঠবে। এটায় মনোযোগ দিতে হবে। আশা করি ফাইনালে সেটি পারব।’
চট্টগ্রামে ফাইনালের মহড়ায় আফগানিস্তানকে হারিয়েই ঢাকা ফিরেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দুদলের মাঝে শিরোপার লড়াই। তার আগে প্রতিপক্ষ হিসেবে আফগানরা পাচ্ছে স্বাগতিক কোচের সমীহ। আর নিজ দলের খেলোয়াড়দের দিকে তাকিয়ে সামর্থ্যের যথাযথ প্রয়োগ দেখার।
‘আফগানিস্তান অবশ্যই ভালো দল। তবে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে তাই বিস্ময়ের কিছু নেই। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের স্কিল ও মানসিকতা একবিন্দুতে মেলাতে পারা, যেন আফগানিস্তানের মতো দলকে হারাতে পারি। সেটি করতে পারলে বিস্ময়ের কিছু হবে না।’