মরমী শিল্পী আব্দুল আলীমের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে তার সন্তান জহির আলীম দাবি করেছেন আব্দুল আলীমকে মূল্যায়ন করতে হলে তাকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তিনি বলেন, আমাদের যেমন জাতীয় অধ্যাপক, জাতীয় কবি, জাতীয় ফুল রয়েছে তেমনি জাতীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আব্দুল আলীমকে দেওয়া হয় তাহলে সত্যিকারের স্বীকৃতি হবে তার জন্য।
মঙ্গলবার বাংলা লোকসংগীতের প্রাণপুরুষ, জাদুকরী কণ্ঠের আব্দুল আলীমের জন্মবার্ষিকীতে বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। চ্যানেল আইয়ের ‘গানে গানে সকাল শুরু’ হয় আব্দুল আলীমের গানে গানে।
লোকসঙ্গীতের এ কিংবদন্তি ১৯৩১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার কণ্ঠে প্রাণময় হয়ে উঠত প্রবহমান নদীর কল্লোল, পাখির কলতান, বাংলার শ্যামল প্রকৃতি।
পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, মারফতি, লালনগীতি- সব ধরনের গান তিনি গেয়েছেন সমান দরদ আর দক্ষতায়। একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকসহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
আর কত কাল ভাসব আমি দুখের সারি গাইয়া; সর্বনাশা পদ্মা নদী, কল কল ছল ছল; হলুদিয়া পাখিসহ আবদুল আলীমের কণ্ঠে গাওয়া কালজয়ী গানগুলো সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
তার কণ্ঠের মাধুর্য কলের গানের যুগ থেকে রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র সব ক্ষেত্রেই লোকপ্রিয়তার পাশাপাশি সঙ্গীতবোদ্ধাদের সমীহ অর্জন করেছ।
তেমন একজন শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। তিনি বলেন, অসাধরণ একটি কণ্ঠ সম্পদ নিয়ে আব্দুল আলীমের জন্ম। এটা আমাদের এই উপমহাদেশের সৌভাগ্য। তার মত শিল্পী পাওয়া খুব ভাগ্য গুণে হয় কোনো জাতির। তার কাছ থেকে গান শেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমাদের।
আব্দুল আলীমের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদ্যাপনের দাবি জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্য এবং বিশিষ্ট শিল্পীরা।