সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে নিয়ে সাংবাদিক জুলফিকার আলি মাণিকের একটি ফেসবুক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই পোস্টে তিনি বনানী কবরস্থানে সাবেক রাষ্ট্রপতির দাফনের বিরোধিতা করে বলেছেন যে কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতা এবং জাতির জনকের শহীদ পরিবারের সদস্যরা সমাহিত হয়েছেন সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা একজনের দাফন হতে পারে না।
‘একটি আপত্তিপত্র: বাংলাদেশের প্রতি অবিশ্বাসীর জন্য প্রযোজ্য’ নয় শিরোনামে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জুলফিকার আলি মাণিক ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে ওই পোস্টে বলেছেন:
‘গতকাল ছিল ৩রা নভেম্বর, বর্বরতম জেল হত্যা দিবস। বাংলাদেশর চার অবিস্মরণীয় নেতাকে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জেলখানার ভেতর হত্যা করেছিল বাংলাদেশবিরোধী সেনা সদস্যরা। সে নেতাদের মধ্যে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দিন আহমেদসহ তিনজন সমাহিত আছেন বনানী কবরস্থানে। সৈয়দ নজরুল ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, আর তাজউদ্দীন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সাথী ছিলেন তারা, বাংলাদেশ স্বাধীনের জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নামে। এই বনানীতেই সমাহিত আছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীণীসহ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরাও।
‘সেই বনানী কবরস্থানে নাকি আজ ৪ নভেম্বর বিকেলে দাফন করা হবে বাংলাদেশ বিরোধী আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিলেন। বিএনপির সাবেক রাষ্ট্রপতি এই বিশ্বাস যে রাজাকার ছিলেন তা আমরা সবাই জানি, যদিও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো, এমনকি “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী” চ্যানেলের দাবিদাররাও বিশ্বাস যে বাংলাদেশের প্রতি অবিশ্বাসী রাজাকার ছিল তা বলছে না। আমি বনানীতে রাজাকার আব্দুর রহমান বিশ্বাসের দাফনের প্রতিবাদ করছি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে। আমি জানি আমার এই আপত্তিতে কিছুই বদলে যাবে না। তারপরও আপত্তিটা জানিয়ে রাখলাম।’