ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা ৬ ম্যাচ জিতে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখায় আবাহনী লিমিটেড। পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান আকাশী-নীল জার্সিরা। তবে শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে হার; আর অন্যদিকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখায় জমে উঠেছে টেবিলের খেলাও।
সোমবার কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে ২৬ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। লিগের নবম রাউন্ড শেষে শীর্ষে থাকা আবাহনীর সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র দুই। ৯ ম্যাচে আবাহনীর জয় ৭টি, রূপগঞ্জ ৬টি। দুটি দলই সুপার লিগ নিশ্চিত করে ফেলেছে দুটি করে ম্যাচ হাতে রেখে।
বিকেএসপিতে নিজেদের নবম ম্যাচে সালাউদ্দিন পাপ্পুর সেঞ্চুরি ও নাঈম ইসলামের ফিফটিতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩১৪ রানের সংগ্রহ গড়ে রূপগঞ্জ। ৮ ছক্কা ও ১২ চারে ৯৫ বলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন সালাউদ্দিন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এই ওপেনারের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। ৫ চার ও এক ছক্কায় ৫৩ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম।
জবাবে শ্রীভাত গোস্বামী ও মোহাম্মদ আশরাফুলের প্রতিরোধের পর ইনিংসের এক বল আগে ২৮৮ রানে অলআউট হয় কলাবাগান। গোস্বামী ৭৫ ও আশরাফুল করেন ৬৪ রান।
আসিফ হাসান ও পারভেজ রসুল নেন তিনটি করে উইকেট। মোহাম্মদ শহীদ নিয়েছেন দুটি উইকেট। মোশাররফ হোসেন ও নাঈম ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
খেলাঘরের কাছে হারল শেখ জামাল
হোম অব ক্রিকেট শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অপর ম্যাচে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খেলাঘর বোলারদের তোপে ইনিংসের ২ ওভার আগেই ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় শেখ জামাল। সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে তানবীর হায়দারের ব্যাটে।
তানবীর ইসলাম চারটি, আনজুম আহমেদ তিনটি, মঈনুল ইসলাম দুটি ও মাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।
খেলাঘর ছোট লক্ষ্যে পৌঁছায় ৪০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে। অশোক মানেরিয়া ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৯ করে আউট হন রাফসান আল মাহমুদ।
একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাজেদুল ইসলাম, সোহাগ গাজী ও রবিউল হক।