জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে আবার হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মঙ্গলবার এই জামিন আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার পক্ষের এই আইনজীবী।
গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এ মামলায় ৭ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। আপিলে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল এবং মামলা থেকে খালাস চাওয়া হয়।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মামলার বাকি সব আসামিকে একই সাজা দেয়া হয় এবং ট্রাস্টের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ঘোষণা করেন আদালত।
ওই রায়ে বলা হয়, সার্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণে যা মনে হয়, প্রত্যেক আসামিই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এতে তারা সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। এ কারণে খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকেই সংশ্লিষ্ট আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ দেয়া হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর সাবেক এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান।
এই মামলার বিচার চলাকালীন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের প্রতি বেগম খালেদা জিয়া অনাস্থা দিলে বিষয়টি বিচারের জন্য পাঠানো হয় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই আদালতে মামলাটি আড়াই বছর ধরে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া যুক্তিতর্কে অংশ না নেয়ায় তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলার আদেশ দেন আদালত। পরে রায় ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজার রায় ঘোষণার পর বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়। তবে বর্তমানে তিনি চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে রয়েছেন।