আগামী দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই হুয়াওয়ে আগের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো থেকে পণ্য ও সেবা কেনার সুযোগ পেতে পারে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের এক সিনিয়র কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ওই কর্মকর্তা এ তথ্য দেন।
সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত এই চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির ওপর আরোপিত অবরোধ কিছুটা শিথিল করার ইঙ্গিত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো হুয়াওয়ের সঙ্গে আবারও ব্যবসা করার লাইসেন্স পেতে পারে বলে জানান তিনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে গত মে মাসে ‘এনটিটি লিস্ট’ নামক যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের একটি বিশেষ তালিকায় জায়গা পায়। যার অধীনে মার্কিন কোম্পানিগুলোর এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব রকম নতুন আমেরিকান পণ্য ও সেবা সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, কোনো আমেরিকান প্রতিষ্ঠান যদি হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য সরকারের কাছ থেকে বিশেষ লাইসেন্সের অনুমোদন যোগাড় করতে পারে তবেই সেটি এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। অবশ্য এমন কোনো লাইসেন্সের আবেদন যে নাকচ হবে, সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু জুনের শেষদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বর কিছুটা নরম হয়ে ওঠে। তিনি ঘোষণা দেন, আমেরিকার কোম্পানিগুলো চাইলে হুয়াওয়ের কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবে।
সম্প্রতি আবার মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি না থাকলে হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা করার লাইসেন্স পাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো।
হুয়াওয়ে নিয়ে ট্রাম্পের নিজের অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আর বাণিজ্য বিভাগের তা খুব দ্রুত বাস্তবায়নই বুঝিয়ে দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাতা গোষ্ঠী নিজেদের ব্যবসা রক্ষার খাতিরে পরিস্থিতি আগের মতো করতে ভালোই চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে চীনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক চাপ তো আছেই।
এই সম্ভাবনাকে সত্য প্রমাণ করতেই যেন মার্কিন কোম্পানিগুলোর হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা পুনঃস্থাপনের সময়টিই জানিয়ে দিলেন হোয়াইট হাউজের ওই কর্মকর্তা।