চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আবারও ব্রিটিশ ট্যাংকার আটক করল ইরান

আবারও উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্রিটিশ ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। আটকে রাখা ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার ছেড়ে না দিলে ইরানকে ‘কঠিন পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব জেরেমি হান্ট।

শুক্রবার পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালিতে ব্রিটেনের দু’টি তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজ আটকের পর একটিকে ছেড়ে দেয় ইরানের সেনাবাহিনী। এর মধ্যে ‘স্টেনা ইমপেরো’ জাহাজটি ব্রিটেনের পতাকাবাহী জাহাজ। এটিকেই আটকে রাখা হয়েছে।

‘মেসডার’ নামের অপর জাহাজটি লিবিয়ার পতাকাবাহী হলেও মালিক যুক্তরাজ্য। মেসডার জাহাজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড আটকের পর শুক্রবার ব্রিটিশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় জাহাজটিতে অবস্থান নেয়। তবে পরে জাহাজটিকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আটক অবস্থায় জাহাজটিতে ২৫ জন আরোহী ছিল। তারা সবাই সুস্থ এবং নিরাপদ ছিল বলে জানিয়েছে মেসডারের মালিক গ্লাসগো ভিত্তিক অপারেটর কোম্পানি নরবাল্ক শিপিং ইউকে। জাহাজটিকে ১০টি স্পিডবোট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

অপর জাহাজ স্টেনা ইমপেরো’র সঙ্গে মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জাহাজটি ২৩ জন আরোহীকে নিয়ে ইরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।

ট্যাংকার আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন জেরেমি হান্ট। স্টেনা ইমপেরো’কে ইরানের ৪টি জাহাজ ও একটি হেলিকপ্টার ঘিরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের সরকারের জরুরি কমিটি কোবরা ইতোমধ্যে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে শুক্রবার দু’বার হোয়াইটফলে বৈঠক করেছে। ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসি’কে জানিয়েছেন, ইরানের এই আচরণ স্পষ্টভাবেই আন্তর্জাতিক নৌ চলাচল স্বাধীনতার প্রতি চ্যালেঞ্জ।

এর আগে ইরানের কিছু নৌকা উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে যুক্তরাজ্যের একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র। ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির একটি যুদ্ধজাহাজ এসে পরে ইরানি ‘দখলদার’ নৌকাগুলোকে হটিয়ে দেয় বলেও ওই মুখপাত্র জানান।