চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো চীন সফরে গিয়েছেন নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। তার একমাত্র অর্থনৈতিক মিত্র চীনে দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার চীনে পৌঁছান কিম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর কিমের এই চীন সফর। সফরে নর্থ কোরিয়ার উপর থাকা অবরোধ এবং ট্রাম্পের সাথে ঐতিহাসিক বৈঠকে করা প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের ঐতিহাসিক সেই বৈঠকে করা চুক্তির অন্যতম প্রধান বিষয় কোরিয়ান উপকূলকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করা।
নর্থ কোরিয়ার উপর থাকা অবরোধ তুলে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্র ও সাউথ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া স্থগিত করার পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সিঙ্গাপুরের বৈঠকেই এই বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিলেন ট্রাম্প।
এবছর তৃতীয়বারের মতো দুইদিনের সফরে চীনে গেলেন কিম। এর আগে চলতি বছরের মার্চ ও মে মাসে চীন সফর করেন উন। নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো চীন সফর করেছিলেন কিম।
তার এই সাম্প্রতিক সফরটি নিয়ে চীনা গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা অনেকটাই ব্যতিক্রম। কারণ সাধারণত নর্থ কোরিয়ান নেতারাই বিষয়টি প্রথম নিশ্চিত করে। কিন্তু এই সফরের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের বৈঠকে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিহিত করেছে ‘পূর্ণাঙ্গ’ চুক্তি বলে।
নর্থ কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে একমত হয়েছে- এর আগে সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকেও এমনই অঙ্গীকার করেছিলো নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পও সাউথ কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া বন্ধের ব্যাপারে একমত হয়েছে।এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র সাউথ কোরিয়া ও জাপান বলে আসছিলো, এই যৌথ মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
ট্রাম্প এই মহড়াকে ‘উস্কানিমূলক’ বলাতেও এনিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়েছে, কেননা এমন দাবি এতদিন পর্যন্ত নর্থ কোরিয়া করে আসছিলো। যুক্তরাষ্ট্র এতদিন তাকে সম্পূর্ণ রক্ষণাত্মক বলেই অভিহিত করে আসছিলো।
সাউথ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৯ হাজার সেনা রয়েছে এবং প্রতি বছরই দুই দেশ নিয়মিত বৃহৎ আকারে সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছিলো।
পরবর্তী মহড়া হওয়ার কথা ছিলো আগস্টে, যেখানে ১৭ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনার অংশ গ্রহণের কথা ছিলো।
ওয়াশিংটন ও সিউলের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে- যৌথ মহড়ার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে।