অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল সোমবার চারদিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন। দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজিব প্রতাপ রেড্ডি। এটিই ভারতীয় প্রথা অথবা প্রটোকল। কিন্তু এই প্রটোকল ভেঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দীর্ঘ সাত বছর পর গত ৭ এপ্রিল চারদিনের সফরে ভারত যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন প্রটোকল ভেঙ্গে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে নরেন্দ্র মোদি তাকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান।
ডয়েচে ভেলে জানায়, কথা ছিল প্রটোকল মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন ভারতের ভারী শিল্প, পাবলিক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী৷ কিন্তু আন্তরিকতায় প্রটোকল ভাঙ্গেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ নিজেই বিমানবন্দরে হাজির হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশ সময় দুপুর একটায়৷
শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানানোর পর মোদি উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি৷ তিনি অভ্যর্থনা জানানোর ছবিসহ পরপর দু’টি টুইটও করেন৷ যেখানে প্রথম টুইটবার্তায়ই মোদি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরে অভ্যর্থনা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত৷’
৮ এপ্রিল হাসিনা-মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দু ’দেশের মধ্যে মোট ৩৬ টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সফরের তৃতীয় দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর ভোজসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধি।
সফরের শেষ দিনে ১০ তারিখ সকাল দশটায় শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। এরপর নয়াদিল্লিতে হোটেল তাজের শাহজাহান হলে ব্যবসায়ীদের এক সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
চার দিনের ভারত সফর শেষে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন। দিল্লি থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ৬টা ৫৭ মিনিটে ঢাকার মাটিতে পা রাখেন তিনি।