গৃহযুদ্ধের কারণে দক্ষিণ সুদান থেকে পালিয়ে অন্য দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ শরণার্থীর জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাগুলো ১৪০ কোটি ডলার দেয়ার আবেদন জানিয়েছে।
গৃহযুদ্ধের কারণে দক্ষিণ সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোয় আশ্রয় নেয়া এবং দেশটির ভেতরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া এই লোকেরা অকল্পনীয় এবং নারকীয় দুর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থা।
২০১৩ সাল থেকে গৃহযুদ্ধের কবলে আছে দক্ষিণ সুদান। এসময়েই লাখ লাখ শরণার্থী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় প্রতিবেশী দেশগুলোতে।
জাতিসংঘের হিসেবে দক্ষিণ সুদানের প্রায় ১৮ লাখ মানুষ এখন শরণার্থী। এদের মধ্যে দশ লাখই হল শিশু। সহিংসতা থেকে বাঁচতে এরা সবাই আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দরিদ্র দেশগুলোতে, বিশেষ করে উগান্ডা, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে।
শুধু দেশের বাইরে শরণার্থীরাই নয়, দক্ষিণ সুদানের ভেতরেও আরো ২০ লাখের মতো মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে যে, দেশটির দু’টি এলাকা দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়েছে।
শরণার্থীদের খাবার-দাবার ও আশ্রয় দেয়ার জন্যে পর্যাপ্ত তহবিল জাতিসংঘের কাছে না থাকায় এই সঙ্কট আরো গভীর হয়েছে। অর্থের অভাবে উগান্ডাতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থী পরিবারগুলোকে দেয়া রেশন কাটছাঁট করতে হয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থাকে।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা সহিংসতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্ভিক্ষের কারণেও আরো বহু মানুষ এখনও দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে।
জাতিসংঘ যতো সংখ্যক শরণার্থীর আশঙ্কা করেছিলো বাস্তবে দেখা যাচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি। আর শরণার্থীদের এই স্রোত সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আশেপাশের দেশগুলোকেও।