দেশীয় সিনেমাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দিতে অতীতে অনেক চেষ্টাই দেখা গেছে। ফেস্টিভাল নির্ভরতা ছাড়াও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অনন্ত জলিল থেকে আব্দুল আজিজ, বহুজনই বহুভাবে চেষ্টা করেছেন। নতুন করে সেই চেষ্টায় সামিল হচ্ছেন আফ্রিকা প্রবাসী বাঙালি নির্মাতা, প্রযোজক ও অভিনেতা সোহেল হায়দার।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে সোহেল নির্মাতা প্যাট্রিক গার্সিয়ার সাথে যৌথভাবে নির্মাণ করেছেন আন্তর্জাতিক ছবি ‘পালাদিন রেজারেকশন’। যে ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের গুণী অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াত, ফজলুর রহমান বাবু, জয়রাজ সহ আফ্রিকা, থাইল্যান্ডের বেশকিছু তারকা অভিনেতা।
ছবির পরিচালনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সোহেল হায়দার। ছবির ৭০ ভাগ ইংরেজি, আর ৩০ ভাগ বাংলায় দেখতে পারবেন দর্শক।
বাংলাদেশি দর্শকদের ভাষা জটিলতায় পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই জানিয়ে সোহেল হায়দার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, “সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ও বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি সিনেমার নতুন এক পথের সূচনা করবে ‘পালাদিন রেজারেকশন’, এমনটাই আশা করছি। ভাষা নিয়ে কোনো ঝামেলা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন,“এখন গ্লোবালাইজেশনের সময়। পৃথিবীর দূরত্ব কমে গেছে। বাংলা ইংরেজি মিক্সড করে ওয়াচেবল একটি সিনেমা করেছি। আফ্রিকার ভালো আর্টিস্ট এই সিনেমায় আছেন, আবার বাংলাদেশ থেকেও আবুল হায়াত, ফজলুর রহমান বাবুদের মতোন অভিনেতারা কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে ছবিটি নিয়ে আমি আশাবাদী।”
পুরোপুরি অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী ছবিটির মুক্তি নিয়ে এই নির্মাতা জানান,“নেটফ্লিক্স নিজেদের কন্টেন্ট এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রেডিমেট কন্টেন্ট কিনে স্ট্রিমিং করে। তো নেটফ্লিক্সের সাথে ‘পালাদিন রেজারেকশন’ নিয়ে আমরা প্রাথমিক আলাপ সম্পন্ন করেছি। যেহেতু আফ্রিকা ও বাংলাদেশ- এই দুটি টেরিটোরির দর্শকদের দেখাতে চাই; তাই সব ফাইনাল করেই সিনেমাটি মুক্তির ঘোষণা দিবো।”
তারআগে বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ‘পালাদিন রেজারেকশন’ এর ট্রেলার উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন সোহেল। রাজধানীর একটি রেস্তুরায় এদিন সন্ধ্যায় হবে ট্রেলার উন্মোচন অনুষ্ঠান। যেখানে নির্মাতা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন এই ছবির অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য কলাকুশলীরা।
শোনা যাচ্ছিলো প্রয়াত মেজর সিনহার জীবনের কোনো ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ছবির গল্প? এমন প্রশ্নে সোহেল হায়দার বলেন, না, মেজর সিনহার বাস্তব জীবনের কোনো অংশের সাথেই এই সিনেমার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে হ্যাঁ, মেজর সিনহা যেরকম প্রতিবাদী একজন মানুষ ছিলেন, চিন্তাভাবনায় যেরকম ছিলেন- তার সেইসব বৈশিষ্ট্যর সাথে সিনেমার প্রধান চরিত্রের কিছুটা মিল পাওয়া যাবে।
ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, এই ছবিটির শুটিং হয়েছে অনেক আগে। দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় সময় নিয়ে শুটিং হয়েছে। অ্যাকশনধর্মী একটি ছবি। আমি এখানে একটা চরিত্র করেছি, ৪/৫ দিন শুটিং ছিলো আমার। আমার অংশটি ঢাকাতেই হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এই টিমের সাথে কাজ করে ভালো লেগেছে। দুজন বিদেশি অভিনেতা ছিলেন, একজন থাইল্যান্ডের এবং অন্যজন ছিলেন আফ্রিকার। নতুন অভিজ্ঞতা হলো এই প্রজেক্টে কাজ করে।