শিরোনাম দেখে চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা হতে পারে! তবে প্রতিপক্ষ দুই দলের মূল তারকাদের দিকে নজর রাখল বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে সহসাই। বোঝা যাবে, কেনো আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালকে বলা হচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটি বনাম লিভারপুলের ফাইনাল।
ফাইনালিস্ট আলজেরিয়া ও সেনেগালের সেরা খেলোয়াড় দুজন খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা দুই ক্লাব ম্যানসিটি ও লিভারপুলে। সেখানে শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে আলজেরিয়ার আদলে ম্যানসিটির! তাদের সেরা খেলোয়াড় রিয়াদ মাহরেজের হাতেই উঠেছে আফ্রিকা সেরা ট্রফি।
পোড়া কপাল সাদিও মানের। সেনেগালের ফরোয়ার্ড লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও দেশকে শিরোপা এনে দিতে পারেননি। দেশকে ফাইনালে তুলে আশা দেখাচ্ছিলেন, কিন্তু শিরোপা লড়াই শুরুর মাত্র ৭৯ সেকেন্ডে এক অদ্ভুতুড়ে গোলে কপাল পুড়েছে টেরেঙ্গার সিংহদের।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায় আলজেরিয়া। বাঁ-দিক থেকে ইসমাইল বেনাসিয়ের বল বাড়িয়ে দেন বাগদাদ বোনেদার দিকে। বাগদাদ গোল বরাবর শট নিলে সেনেগালিজ ডিফেন্ডার সালিফ সানের পায়ে লেগে বল গোলরক্ষক আলফ্রেড গোমিসকে দর্শক বানিয়ে জড়িয়ে যায় জালে। নেশন্স কাপের ফাইনালে সবচেয়ে দ্রুততম গোল!
সেই গোলের পর দুই দলই খেলেছে আক্রমণাত্মক। গোলের সুযোগও এসেছে, কিন্তু ম্যাচ শেষে বাগদাদের গোলটাই হয়ে গেছে ফল নিয়ন্ত্রক। যাতে লিভারপুলের মানেকে কাঁদিয়ে শিরোপা ঘরে তোলেন ম্যানসিটি তারকা মাহরেজ।