আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে দ্রুত বাংলাদেশে আসায় ভারতের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী প্রসাদ শেঠিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার চিকিৎসার ব্যাপারে আপনার মতামত শুনতে আমি উদগ্রীব ছিলাম।
জবাবে দেবী শেঠি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি যখনই ডাকবেন আমি বাংলাদেশে আসবো।’
এ সময় শেখ হাসিনা শেঠির সঙ্গে দেশের চিকিৎসাসেবা নিয়ে আলোচনা করেন।
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া বাংলাদেশী চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশংসা করে দেবী শেঠি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা অসাধারণ চিকিৎসা দিয়েছেন । এর চেয়ে ভালো চিকিৎসা উন্নত দেশগুলোতেও আশা করতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক শেষে ডা. শেঠিকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
শেঠি সেতুমন্ত্রীর সর্বশেষ অবস্থা সর্ম্পকেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য মন্ত্রীকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, এমন একজন খ্যাতনামা ব্যক্তির চিকিৎসা করতে স্থানীয় চিকিৎসকগণকে অনেক চাপের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, চিকিৎসা বিদ্যার শিক্ষার্থীরা যাতে স্নাতকোত্তর ও গবেষণার বিষয় এখানে সম্পন্ন করতে পারে এজন্য দেশে প্রথম এ ধরনের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতেও এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
ড. শেঠি ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তার পরামর্শে অসুস্থ মন্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য এয়ারবাসে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
রোববার ভোরে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে রোববার সকাল পৌনে আটটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিয়াক বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি বিএসএমএমইউ’র করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন ছিলেন।