চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পাচ্ছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড) পাচ্ছেন ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি’র (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লৈঙ্গিক সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখায় নারীদের এই পুরস্কার দিয়ে থাকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

১১টি দেশ থেকে এ বছর ১১ জন সাহসী নারী এই পুরস্কার পাচ্ছেন। তারা হলেন: বাংলাদেশের সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ব্রাজিলের সিমোন সিবিলিও দো নাসিমেন্টো, মিয়ানমারের ই থিনজার মং, কলম্বিয়ার জোসেফিনা ক্লিঞ্জার জোনিগা, ইরাকের তাইফ সামি মোহাম্মদ, লাইবেরিয়ার ফ্যাসিয়া বোয়েনোহ হ্যারিস, লিবিয়ার নাজলা মাঙ্গোশ, মলদোভার ডোইনা ঘেরমান, নেপালের ভূমিকা শ্রেষ্ঠা, রোমানিয়ার কারমেন ঘেওর্গে, দক্ষিণ আফ্রিকার রোয়েগচান্দা পাস্কো এবং ভিয়েতনামের ফুমওয়ান ট্রাং।

মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘‘রিজওয়ানা হাসান একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। তিনি পরিবেশ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় সাহসী নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। গত ২০ বছর ধরে যুগান্তকারী আইনি মামলার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিশীলতা পরিবর্তন করে পরিবেশগত ন্যায়বিচারের ওপর জনকেন্দ্রিক দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী হিসেবে বন উজাড়, দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত জাহাজ ভাঙা এবং অবৈধ ভূমি উন্নয়নের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন এবং জিতেছেন। ২০০৯ সালে তিনি টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ৪০ জন এনভায়রমেন্টার হিরোদের একজন হিসেবে মনোনীত হন এবং ২০১২ সালে র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হন।

শক্তিশালী মহলের প্রতিরোধ ও নিজের এবং পরিবারের প্রতি সহিংসতার হুমকি সত্ত্বেও বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের স্থানীয় প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আদালতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।’’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১৪ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কারের আয়োজন করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি ড. জিল বাইডেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের অর্জনকে স্বীকৃতি জানাতে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।