আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী দলের ৮ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। পাচারকারীদের কাছ থেকে ৪ জিম্মি নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। নারী পাচারের পাশাপাশি দলটি জিম্মিদের নির্যাতন করে অর্থ আদায় করে আসছিলো বলে জানিয়েছে র্যাব।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর থেকে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে বিক্রির সময় আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী দলের সদস্য রোকন ও আয়েশাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানী যাত্রাবাড়ি ও বেনাপোল থেকে আটক করা হয় আরো ৬ মানব পাচারকারী।
র্যাবের পরিচালক (গণমাধ্যম ও আইন) মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, পাচারকারী দলটি তিন শতাধিক নারী পাচার করেছে। এদের মধ্যে ভারতে পাচার করা সাবিনা নামে এক নারীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে র্যাব।
মুফতি মাহমুদ আরো বলেন, যারা বাংলাদেশে আনার জন্য আবেদন করেন সেই প্রেক্ষিতে আমরা কাজ শুরু করি এর পেছনে কারা জড়িত আছে তাদের আটক করার চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সাথে যোগাযোগ করি যাতে ভিকটিম যে আছে তাকে কিভাবে দ্রুততম সময়ের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা যায়। সেই সাথে জড়িতদের কিভাবে আইনের আওতায় আনা যায়।
গ্রেফতারকৃত ৬ মানব পাচারকারীর কাছ থেকে ১২টি পাসপোর্ট, ১১টি ভিসা, ৫১টি জাল বিমান টিকিট, বিদেশে চাকুরির ভূয়া কাগজপত্র, ক্যামেরা, ১২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।