মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নানের কাছে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করা মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব খান তার বঞ্চনার কথা লিখে গেছেন দু’পাতার এক সুইসাইড নোটে।
মৃত্যুর আগে তিনি ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লেখা চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গেছেন। যদিও সচিব দাবী করেছেন, তিনি আত্মহত্যা করা মুক্তিযোদ্ধাকে চেনেন না।
চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খান লিখেছেন, ‘সচিবের বাসায় আমার দেওয়া টাকা ফেরত চাই, আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে অপমানিত করে বের করে দেয়। আমি আত্মহত্যা করলাম এবং আমার লাশটা ঢাকায় দাফন করার জন্য আবেদন। আমার মৃত্যুর জন্য তিনিই দায়ি, আমার পরিবারের জন্য এক কেজি চাউলও কিনে রেখে যেতে পারলাম না।’
মৃত্যুর আগে জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা চিঠিতে তিনি তার সাথে সচিব কী ব্যবহার করেছেন তাও পরিস্কার লিখে গেছেন।
সেগুনবাগিচার হোটেল কর্ণফুলির একটি কক্ষে একমাস ধরে অবস্থান করছিলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে অর্ধমৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। সে সময় তিনি পুলিশকে জানান তিনি বিষ পান করেছেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুবের মুত্যু হয়।