বৃহস্পতিবার ৫’শ অভিবাসী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া দু’টি নৌকায় থাকা ৭৮ জন বাংলাদেশীর হিসেব পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ২৪ জন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করলেও তাদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস। নিখোঁজ থাকা অভিবাসীদের মধ্যে আরো বাংলাদেশী থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মৃতদের তালিকায় আছেন শরীয়তপুরের চারজন: স্বপন, আজাদ, জাকির ও সুমন। টাঙ্গাইলের মারা গেছেন তিনজন: বাদল, বাবুল ও সালাহউদ্দিন। মৃতদের তালিকায় নোয়াখালিরও তিনজন আছেন: সাহাবুদ্দিন, সোহেল ও রুবেল। কুমিল্লা থেকে আছেন দুইজন: ইসলাম ও ফারুক।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের মাহমুদ; মাদারীপুরের ফয়েজ; ঢাকার কেরানিগঞ্জের গাজীউল, যশোরের জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রামের করিম এবং রাজবাড়ীর মফিজের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দূতাবাস। মৃত অন্য ছয় বাংলাদেশীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া কয়েকজনকে ছেড়ে দিলেও বেশীরভাগ বাংলাদেশীদের আটকে রেখেছে লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আটক বাংলাদেশীদের খুব শিগগিরই মুক্ত করার কথা জানিয়েছে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। তবে কোনো মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না বলে চ্যানেল আইকে জানিয়েছেন লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
জীবিত উদ্ধার ৫৪ বাংলাদেশীর মধ্যে ১২ জনকে দূতাবাসের জিম্মায় ছেড়ে দিলেও এখনো ৪২ জনকে একটি ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে দূতাবাস।
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক আরো বলেন, আমরা উদ্ধার হওয়াদের সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্ধার হওয়ারা দেশে ফিরতে চাইলে আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সব ঠিকঠাক করবো। আইএমও এর সহায়তাও নেব।
জীবিত উদ্ধার হওয়া কেউ দেশে ফিরতে চাইলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে জানানো হয়।