আজ বিশ্ব অটিজম দিবস। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবটির মূল কর্মসূচি রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধন করবেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বকীয়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের পথে’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল’র নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য সাস্থ্যসেবা এবং আর্থ-সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা তাকে ‘এক্সিলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করে।
সম্প্রতি সায়মা ওয়াজেদ ইউনেস্কো কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনেস্কে-আমির জাবের আল-আহমদ আল-সাবাহ পুরস্কার’ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন।
তার পরামর্শে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। অটিস্টিক শিশু শনাক্তকরণ, সেবা প্রদান এবং তাদের মা-বাবা বা যত্নদানকারীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এ ‘সিনাক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এটিকে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি এন্ড অটিজম’এ রূপান্তর করা হয়েছে।
বিশ্ব অটিজম দিবসের নানা কর্মসূচি
অটিজম দিবস উপলক্ষে বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে অটিজম শিশুদের নিয়ে এক চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রাঙ্গণে বিকেলে পৃথক কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অটিজম শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে শিশুরা নৃত্য ও গান পরিবেশন এবং আবৃত্তি করবে।