নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আরো এক দুঃসংবাদ। আচরণবিধি ভাঙায় শাস্তি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচ ফি’র ১০ শতাংশ জরিমানা গুণতে হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। জরিমানা হয়েছে কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টেরও। দুজনের নামের পাশেই যোগ হয়েছে একটি করে ডিমেরিট পয়েন্ট।
ক্রাইস্টাচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টড অ্যাস্টলের বোলিংয়ে কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে ৮ বলে ৭ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। আউট হয়ে ফেরার সময় নিজের হতাশা প্রকাশ করতে গিয়ে বাউন্ডারির সীমানা প্রাচীরে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন! তাতে প্রাচীর বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনা দৃষ্টি এড়ায়নি ম্যাচ রেফারির। তাই শাস্তিও এড়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও।
মাহমুদুল্লাহ আইসিসির আচরণবিধির ২.২ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন, যেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন ‘ক্রিকেট সরঞ্জাম বা পোশাক, মাঠের সরঞ্জাম এবং জিনিসপত্রের অপব্যবহার বা নষ্ট করার ব্যাপারে বলা আছে।
ম্যাচ শেষে এই অপরাধের জন্য মাহমুদউল্লাহ ম্যাচ ফি থেকে ১০ শতাংশ কেটে নেয়ার শাস্তি ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি স্টিভ বার্নার্ড। নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় মাহমুদউল্লাহর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
মাহমুদউল্লাহ ১০ শতাংশ জরিমানা হলেও আজেবাজে মন্তব্য করায় ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়েছে বোল্টকে। আচরণবিধির ২.৩ ধারা লঙ্ঘন করেন তিনি।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই সমান ৮ উইকেটে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। ফলে আগামী বুধবার হতে যাওয়া তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই।