বিদায়ী বছরে প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক সূচক শক্ত অবস্থানে থাকায় ২০১৭ সালেও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. এম আখতারুজ্জামান বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, এক্সচেঞ্জ রেট ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহসহ অর্থনীতির সব সূচক ২০১৬-১৭ অর্থবছরের লক্ষ্যের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
তিনি বলেন, সব সূচক এটাই প্রমাণ করে যে, আগামী বছরে এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩৮। এটা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের লক্ষ্যের কাছাকাছি।
২০১৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিলো ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা ৬ মাসের আমদানি খরচের জন্য যথেষ্ট।
এ বছর স্থানীয় মুদ্রা ছিলো স্থিতিশীল। ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর মার্কিন ডলারের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার ছিলো ৭৮ দশমিক ৮৩ টাকা। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ছিলো ৭৮ দশমিক ৬৬ টাকা।
গত নভেম্বরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ৩৪ ভাগ। এটা অর্থবছরের লক্ষ্যের কাছাকাছি। এর লক্ষ্য ছিলো ১৬ দশমিক ৫ ভাগ।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘২০১৭ অর্থবছরের শেষ নাগাদ আমরা ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৫ ভাগ অর্জন করার ব্যাপারে আশাবাদী। কারণ, বিনিয়োগ বাড়ছে।’
তিনি জানান, বর্তমানে ঋণের হার প্রায় ১০ ভাগ। সাম্প্রতিক সময়ে সর্বাধিক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহা বলেন, আর্থিক খাতের জন্য এ বছর ছিলো স্থিতিশীলতার বছর। অর্থনৈতিক খাতের সব সূচকই ছিলো ভালো।
বলেন, কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ দশমিক শূন্য ভাগ অর্জন করেছে। সব খাতে অর্থ প্রবাহ উল্লেখ্যযোগ্য হারে বেড়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক এসএমই ঋণ দিয়েছে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা।