কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মোড় এলাকায় মাসহ শিশু আকিফাকে ধাক্কা দেয়ার আলোচিত ঘটনার প্রধান আসামি গঞ্জেরাজ পরিবহনের চালক মহিদ মিয়া ওরফে খোকনকে ফরিদপুর থেকে আবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২।
বুধবার রাতে কুষ্টিয়া র্যাব-১২’র একটি দল তাকে ফরিদপুর জেলা সদরের বঙ্গেশরদী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া র্যাব-১২’র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১২-সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহামেনুর রশিদ।
তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর শিশু আকিফা হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাস চালক মহিদ মিয়া ওরফে খোকনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে।
গত ২৮ আগস্ট কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে ফয়সাল গঞ্জেরাজ নামের বাসটি শিশু আকিফাসহ তার মাকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়ে আকিফা গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।
২৯ আগস্ট রাতে শিশু আকিফার বাবা হারুন অর রশিদ কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাস চালক, হেলপার ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক মো. জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিল র্যাব। ১০ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে একই সময়ে গঞ্জেরাজ বাসের চালক মহিদ মিয়া আত্মসমর্পণ করে।
এরপর তাদের দু’জনের আইনজীবী আদালতের মাধ্যমে তাদের জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন দেন।
পরদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমন কাদেরী মামলাটি ৩০২ ধারায় সংযোজন করার জন্য একই আদালতে আবেদন করেন। আবেদনটি আদালত মঞ্জুর করেন।
একই সঙ্গে আদালতের উপ-পরিদর্শক আজহার আলী বাসের মালিক ও চালকের জামিন আদেশ বাতিলের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন আদেশ বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয় মহিদ মিয়াকে।