মাঠে ক্রিকেটার আর আম্পায়ারদের মাঝে থাকতে হবে সামাজিক দূরত্ব। নিজেদের ক্যাপ, চশমা বা সোয়েটার আম্পায়ারের কাঁধে তুলে দেয়া যাবে না, খেলোয়াড়দের নিজেদেরই বহন করতে হবে- এমনসব নতুন নিয়ম-নির্দেশনায় অভ্যস্ত হতে হবে মাঠে ক্রিকেট ফিরলে। খেলোয়াড়দের জন্য এসব গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির দেয়া তথ্যানুসারে গাইডলাইন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ক্রিকেটকে নিরাপদে মাঠে ফেরাতে হলে অবশ্যই এসব নিয়ম অনুসরণ করা জরুরী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে শুরু করে ঘরোয়া, সবধরনের ক্রিকেটেই নির্দেশনাগুলো মানতে হবে মাঠে উপস্থিত সবাইকে।
আইসিসির পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘মাঠে খেলোয়াড় এবং আম্পায়ারদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি আম্পায়ার কিংবা সতীর্থ খেলোয়াড়কে দেয়া যাবে না। আম্পায়ারদের মাঠে বল ধরার সময় গ্লাভস পরিধানে উৎসাহী করা হয়েছে।’
অনুশীলনের সময় অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে ক্রিকেটারদের। প্রয়োজনে অনুশীলনের পোশাক বাসা থেকেই পরে আসবেন ক্রিকেটাররা এবং পৃথক পোশাক পরিবর্তন কক্ষ ব্যবহার করবেন।
একজনের ব্যবহৃত পানির বোতল থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা। তাই আরেকজনের সঙ্গে পানির বোতল ব্যবহারে কঠোরভাবে নিরুৎসাহী করেছে আইসিসি।
বলে লালা ব্যবহারে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস, বলকে বলা হচ্ছে করোনা বিস্তারের অন্যতম বড় উৎস হিসেবে। ক্রিকেট কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ এসেছে, মাঠের খেলায় যেন নিষিদ্ধ করা হয় লালা ব্যবহার। এছাড়া আরও বিভিন্ন কারণে বল থেকে খেলোয়াড়দের দেহে হতে পারে সংক্রমণ।
সেজন্য বল ব্যবহারে অনুসরণমালা দিয়েছে আইসিসি। প্রতিবার বল ব্যবহারের পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। বল ধরার পর কোনোভাবেই নাক, চোখে, মুখে হাত দেয়া যাবে না।
এতশতের পরেও যদি করোনায় আক্রান্ত হয়েই পড়েন কোনো খেলোয়াড়, সেক্ষেত্রেও আলাদা গাইডলাইন অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দলের সবাইকে পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে আইসিসির পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে পুরো দলকেই পাঠাতে বলা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
মাঠে সবচেয়ে দুর্বলতম ব্যক্তি ধরা হয়েছে ম্যাচ অফিসিয়াল, গ্রাউন্ডস্টাফদের। বিশেষ করে যাদের বয়স ৬০ বছর। যাদের কিডনি, ডায়াবেটিস, দুর্বলতা ও স্থূলতা সমস্যা আছে। তাদের মাঠে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে আইসিসি।