আইপিএল ঘিরে যথারীতি জুয়ার আসরে ছেয়ে গেছে ভারত। এসব ‘অবৈধ’ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লিতে ভারতীয় পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সুভাস পার্ক এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে ধরা হয়েছে। তারা ঘরের ভেতর ল্যাপটপ, কম্পিউটারে জুয়া পরিচালনা করছিলেন।
সংঘবদ্ধ এই চক্রটি বিশেষ একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে জুয়া পরিচালনা করে। ঘরটিতে মোট আটজন জুয়াড়ি ছিল। পুলিশ হানা দিলে পাঁচজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ভারতজুড়ে এখন পর্যন্ত চারটি বড় চক্রের খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। হায়দরাবাদ, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গে তাদের এই জুয়া খেলা চলে।
আইপিএল ঘিরে জুয়ার বিষয়টি আলোড়ন তোলে ২০১৩ সালে। সাবেক ভারতীয় পেসার শ্রীশান্ত ওই বছর আজীবন নিষিদ্ধ হন। চেন্নাই এবং রাজস্থান ফ্রাঞ্চাইজিও দুই বছর করে নিষিদ্ধ হয়।
দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জুয়াড়িরা হলেন শেখর গান্ধি। শেখর মূলহোতা। পাঁচটি চুরি এবং ডাকাতির আসামী তিনি। অন্য দুজন নিখিল গোয়াল এবং ধিরাজ শর্মা।
এছাড়া মধ্য কলকাতার পোস্তা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সঞ্জয় নামের এক বুকিকে। সঞ্জয়ের সঙ্গে জড়িত বেটিং চক্রের আরও তিন মাথা দিলীপ শর্মা, অনিল আগরওয়াল ও মনিষ শর্মাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
যেভাবে চলে অনলাইনে জুয়া
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সমমনা জুয়াড়িদের নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র ছোট ছোট গ্রুপ খোলে। ফোন কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তারা গ্রুপের জুয়াড়িদের বিভিন্ন ওভারের ওপর বাজির নির্দেশনা দেয়। প্রত্যেক বাজিতে কমপক্ষে ১০ হাজার রুপি ধরতে হয়। যাদের অনুমান সঠিক হয়, তারা দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ টাকা ফেরত পায়। কোন বাজিতে কত টাকা ফেরত দেয়া হবে, সেটা আগে থেকে নির্ধারিত থাকে।