২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ গত অর্থবছরের তুলনায় ১০৭ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার হিসাবে এ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের বরাদ্দ বাড়লেও এবারের প্রস্তাবিত মোট বাজেটে গতবারের তুলনায় শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বরাদ্দ কমেছে।
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে করোনাভাইরাসের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের অধ:স্তন আদালতসমূহকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্ট রুমে পরিণত করা হবে। প্রতিটি আদালত এবং বিচারকার্যের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন দপ্তর যেমন- থানা, হাসপাতাল, কারাগার এবং সম্পৃক্ত ব্যক্তি যেমন তদন্তকারী, সাক্ষী, আইনজীবী, আসামী ইত্যাদি সেন্ট্রাল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকবে বিধায় মামলা ব্যবস্থাপনা দক্ষ হবে। এতে বিচারপ্রার্থী জনগণের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচারপ্রার্থীগণ শিগগিরই এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ছিল পাঁচ লাখ ১৫৭৭ কোটি টাকা। তখন আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ১ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। যা ছিল ওইবারের মূল বাজেটের শূন্য দশমিক ৩২৫ শতাংশ। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেট যেখানে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সেখানে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। যা এবারের প্রস্তাবিত মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ৩০৬ শতাংশ। সে হিসাবে এই বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের বরাদ্দ কমেছে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ।
আর গতবারের চেয়ে ২৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের জন্য নতুন অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ২২২ কোটি টাকা।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি খাতেও আইন ও বিচার বিভাগের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। গত বছর এই খাতে বরাদ্দ হয়েছিল ৪৩৫ কোটি টাকা। তবে এবার এই খাতে ৫৯ কোটি টাকা কমিয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা।