আইন না থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়পত্র জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আর পরবর্তী পর্যায়ের নির্বাচনে প্রাণহানিসহ সহিংসতা ঠেকাতে বুধবার আবারো আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসবে ইসি।
প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর। ইউপি নির্বাচনের শুরুতেই লাগাতার এই অনিয়মের কারণে তোপের মুখে পড়তে হয় নির্বাচন কমিশনকে।
মনোনযনপত্র জমা দিতে বিভিন্ন সহিংসতার কারণে প্রথম দফা নির্বাচনে সরকারী দলের প্রায় অর্ধশতাধিক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়। সমস্যা লাঘবে একাধিক জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেয়া সহ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
তবে আইন না থাকার কারণে সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা জানালো নির্বাচন কমিশন। ভবিষ্যতে আইন হলে প্রার্থীরা এই সুযোগ পাবেন বলে আশা নির্বাচন কমিশনের।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটার ওপর কোন আইন নাই। এটা করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। এটার জন্য বিধি পরিবর্তন করতে হবে। এটা থাকলো। আর তো দুই দফা নির্বাচন বাকি আছে। ভবিষ্যতে যদি এটি করা যায়।
সামনে এখনো ৪ দফার ইউপি নির্বাচন। এরই মধ্যে দুদফা নির্বাচনে দলীয় সহিংসতাসহ আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে ৩৫ জনের।
তিনি বলেন, এখানে প্রত্যেকেরই দায় আছে। আমি আমার দায় এড়াচ্ছিনা। যেহেতু আমি নির্বাচন পরিচালনা করি সেটার দায় আমাকে নিতে হবে। কিন্তু আমাকে; আমাকে বলতে হবে: আমার যতোটুকু করনীয় সেখানে আমার কোন ত্রুটি নাই। এখানে রাজনৈতিক দল গুলোর ভিত্তিতে মনোনয়ন হচ্ছে তাই এখানে রাজনৈতিক দল গুলোর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি।
পরবর্তী ধাপে সহিংসতা বন্ধ সহ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে বসবে ইসি।