একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আইনগত ভিত্তি পেলে এবং নির্বাচন কমিশনে (ইসি) থাকা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ত্রুটি না থাকলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আগামী দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচনের আর বেশিদিন নেই। হয়তো দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এই প্রস্তুতির প্রথম পর্ব শুরু হলো এখান থেকে।’
ইভিএম বিষয়ে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, আমাদের অবস্থান আগে যেরকম ছিল, এখনো সেরকম আছে। ইভিএমে যদি আপনারা সফল হন, আপনাদের যদি ইভিএম ব্যবহারের যোগ্যতা অর্জিত হয় এবং ইভিএম যদি আইনগত একটা ভিত্তি পায়, এখন পর্যন্ত কিন্তু পায়নি। এখন পর্যন্ত প্রস্তুতিমূলক।
‘আমরা আগেও বলেছি, আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যদি আইনগত ভিত্তি পায়, তখনই ইভিএম চালু করা হবে। এবং যে ইভিএম আছে, সেগুলো যদি ব্যবহার উপযোগী হয়, কোনো ত্রুটি না থাকে, কেবল তখনই ইভিএম ব্যবহার করা হবে।’
ইভিএমের উপকারিতা দেশবাসীকে জানাতে হবে বলে মন্তব্য করেন সিইসি। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ থাকবে, প্রশ্ন থাকবে, জানার আগ্রহ থাকবেই। কারণ ভোট মানুষের পবিত্র আমানত। সেটা কোথায় দিল, কীভাবে দিল, সঠিকভাবে দিল কিনা, সেটা তাদের জানার আগ্রহ থাকবে না, সেটা হতেই পারে না। মানুষের মধ্যে যদি সেই জ্ঞান না থাকে, তাহলে তো তাদের প্রশ্ন থেকেই যাবে। তাই ইভিএমের উপকারিতা দেশ ব্যাপী প্রচার চালাতে হবে।
নুরুল হুদা জানিয়েছেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হলো।
জাতীয় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে নুরুল হুদা বলেন, টিওটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটা সবসময় হয়ে থাকে। কারণ হাজার হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ভালোভাবে, সুচারুভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য যে প্রস্তুতি, সে প্রস্তুতির প্রথম পর্বে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন।