তিন শিশু সন্তানসহ এক আইএস বধূর প্রত্যাবাসনে রুল জারি করেছেন জার্মানির একটি আদালত। আদালত বলছেন, সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে থাকলে ওই তিন সন্তানের ক্ষতি হবে।
এর আগে ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সদস্যরা তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবদেন জানায়। কিন্তু পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা প্রত্যাখান করলে বিষয়টি আদালতে আসে।
এরপর বার্লিনের একটি আদালত তাদের প্রত্যাবাসনে রুল জারি করেন। জার্মানিতে এটিই প্রথম এ ধরনের রুল জারি বলে বিবিসি জানিয়েছে।
জার্মানি ইতোমধ্যে ওই নারী বাদে তার সন্তানদের মধ্য থেকে দুই একজনকে দেশে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে। ওই নারী বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে থাকতে পারেন এবং তিনি জার্মানির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারেন উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আদালতের যুক্তি হলো, এক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় থাকলে শিশু তিনটি ভয়াবহ, অযৌক্তিক এবং অপ্রত্যাশিত ঝামেলায় পড়বে।
স্থানীয় একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, শিশু তিনটির বয়স যথাক্রমে আট বছর, সাত বছর এবং দুই বছর। তাদের মায়ের বাড়ি লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে।
বার্লিনের বিবিসি সংবাদদাতা বলেন, এই পরিবারটি আইএস এ যোগদানকারী জার্মানির অন্যান্য পরিবারের নমুনা মাত্র। জার্মানির অনেক নারী আইএস যোদ্ধাদের বিয়ে করেছেন এবং সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে একশ শিশু আছে যারা ভয়াবহ পরিস্থিতিরি মধ্যে রয়েছে।
আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দেয়ার পর যেসব পুরুষ জার্মানিতে ফিরে এসেছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রায় সবাই অপরাধ তদন্তের বিষয়ে পরিণত হয়েছেন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে অপরাধ তদন্ত চালানোর আগে আরও তথ্য প্রমাণ খোঁজা হতো।
তবে ২০১৭ সালে এই অবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেসময় ঘোষণা দেয়া হয়, আইএস এ যোগ দেয়া নারী এবং পুরুষকে ভিন্নভাবে দেখা হবে না।