বর্তমান বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম ইরাক ও সিরিয়া ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তালিকায় নতুন অস্ত্র হিসেবে নাম লিখিয়েছে মুরগী বোমা।
ভবিষ্যতে আত্মঘাতী হামলা মানুষ দিয়ে না চালিয়ে সেই হত্যাকাণ্ডের জন্য পশুকূলকেই বেছে নিয়েছে আইএস সদস্যরা। মুরগীর পিঠে বিস্ফোরক বেঁধে দূর থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে শত্রুর ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করছে তারা। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা হয় মুরগীর পিঠে বোমা বেঁধে রাখার ছবিটি।
কিছুদিন আগেও ওই তালিকায় ছিল পারমাণবিক অস্ত্র। তবে পামাণবিক অস্ত্র কিনতে না পারায় তাদের নজর ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরকের উপর। আইএস জঙ্গিরা অনেক আগেই ইরান ও মার্কিন বাহিনীর কাছ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র টি-৭২ ট্যাংক, এফআইএম-৯২ স্টিংগার ম্যানপ্যাড, ৫৯ আর্টিলারি, জেডইউ-২৩-২, ইরাকি জীবাণু অস্ত্র, চাইনিজ এইচজে-৮, ৯কে৩২ স্ট্রেলা-২/এসএ-৭ গ্রিল, আমেরিকান হামভি, এম১৯৮ হাউটিৎজার ট্যাংক, রকেট লঞ্চার, মিসাইল সিস্টেম, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম ছিনিয়ে নিয়েছিল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থ সংকট এবং সিরিয়া ও ইরাকের সঙ্গে সকল প্রকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নিজেরাই বোমা তৈরি করছে জঙ্গিরা। এই কাজে তারা মর্টার শেল, সার ও বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এবার মুরগিবোমা তৈরির কাজ করছে আইএস। বিশেষজ্ঞরা আরো জানিয়েছেন মুরগীবোমার পরিকল্পনায় বলে দেয়, আইএস জঙ্গীদের অস্ত্র ভান্ডারে অস্ত্রের টান পড়ার লক্ষণ এটা।