তেজগাঁও থানার এক অস্ত্র মামলায় অশীতিপর রাবেয়া খাতুনকে অব্যাহতি দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশীদ।
এ বিষয়ে আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল জানান, ‘২০০২ সালে রাবেয়া খাতুনের নামে এজাহার করা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন যাবত মামলাটি জজ কোর্টে চলছিল কিন্তু নিষ্পত্তি হচ্ছিল না। মহিলার ভাষ্যমতে তার বয়স ১০৪ বছর। এটা পত্রিকায় দেখে হাইকোর্টে আবেদন করি। আদালত ২৯ এপ্রিল রুল জারি করলেন। এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
গত ১৫ অক্টোবর মামলাটির ফাইনাল শুনানি হয়। আদালত রায়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রাবেয়া খাতুনের ক্ষেত্রে মামলাটি কোয়াশড (বাতিল) করেছেন। অর্থাৎ রাবেয়া খাতুন এই মামলায় আর কোর্টে যেতে হবে না। তার ক্ষেত্রে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে।’
অবৈধ অস্ত্র ও গুলিসহ তেজগাঁও থানার গার্ডেন রোডের একটি বাসা থেকে রাবেয়া খাতুনকে ২০০২ সালের ২ জুন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিনই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় জুলহাস ও অপর এক ব্যক্তি মাসুদকে আসামি করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর প্রায় ছয়মাস পর রাবেয়া জামিনে মুক্তি পান। একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাবেয়া খাতুন ও জুলহাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তবে ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর এই মামলায় ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এই মামলার বিচার দীর্ঘ ১৬ বছরেও সম্পন্ন না হওয়ায় এ নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম নোবেল। সে আবেদনের ওপর শুনানির পর রাবেয়া খাতুনের ক্ষেত্রে মামলাটি কোয়াশড (বাতিল) করে আজ রায় দেওয়া হল।