বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরকে সফলতম আসর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসি। এজন্য বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি আইসিসি স্বীকার করেছে, নানা অজুহাতে টুর্নামেন্ট বর্জনকারী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারার ক্ষেত্রে আইনগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশের চার শহরের আটটি ভেন্যুতে যুব বিশ্বকাপে ম্যাচ সংখ্যা ছিলো ৪৮টি। দর্শক আগ্রহ আর নিরুপদ্রপ-ছিমছাম ১৮ দিনের এই উৎসবকে ইতিহাসে সফলতম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ বলছে খোদ আইসিসি। সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, বড় আসরের আয়োজক হিসেবে অতিথি দলকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সক্ষম বাংলাদেশ।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন বলেন, এ সময়ে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিরাপদ আয়োজন। এক্ষেত্রে চমৎকার আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। এদেশ বড় মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজনে ভালোভাবে সক্ষম এটা আরো একবার প্রমাণ হলো।
টুর্নামেন্ট পরবর্তী মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে হাজির হওয়া আইসিসির দুই শীর্ষ কর্তাকে অস্ট্রেলিয়া দলের টুর্নামেন্ট বর্জন নিয়ে বিব্রতকর প্রশ্নের মুখোমুখিও হতে হয়। এসময় বর্জনকারী দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার কথাও জানান তারা।
ডেভ রিচার্ডসন এ প্রসঙ্গে বলেন, কোনো সদস্য রাষ্ট্র চাইলেই আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট বর্জন করতে পারে না। তাদের যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে হয়। সফল আয়োজনের পর মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার টুর্নামেন্ট বর্জন দুর্ভাগ্যজনক। আইসিসি কোনো দেশকে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে বাধ্য করতে পারে না। এই আইনি সীমাবদ্ধতা কিভাবে কাটানো যায় তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
ভুক্তভোগী বিসিবি’র চাওয়া, আইসিসি’র যে কোনো টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা নীতিমালা অভিন্ন হোক।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার একটি সুনির্দিষ্ট ও অভিন্ন নীতিমালা থাকা উচিত, যা সবাইকে মানতে হবে। কোনো আয়োজক যদি নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সে্ই শর্তপূরণ করতে পারে তাহলে তার প্রতি সবার আস্থা দেখাতে হবে।
শুধু আয়োজন নয়, টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের মাঠের পারফরম্যান্স ও অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার বিষয়ে অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন আইসিসি সভাপতি জহির আব্বাস।