ঘরের মাঠে অ্যাশেজ হারের মুখে ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ওভাল টেস্টে জয় না পেলে ২০০১ সালের পর নিজ মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হারবে ইংলিশরা।
অবশ্য সর্বনাশ যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে জিতে ছাইভস্ম নিজেদের কাছে রেখে দেয়ার বন্দোবস্ত করেছে গত সিরিজজয়ী অজিরা। এখন মানসম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ে মরিয়া ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচে জিতলে অন্তত ড্র মিলবে নামের পাশে। সেজন্য একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন।
পরিবর্তনটা জরুরিই ছিল স্বাগতিকদের জন্য। আগের চার টেস্টের ব্যর্থ ব্যাটসম্যান জেসন রয়ের একজন যোগ্য বিকল্পের প্রয়োজন ছিল। ওভাল টেস্টের আগে সেটাই আনল ইংলিশরা।
রয়ের বিকল্প হিসেবে অবশ্য কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে আনা হয়নি। ডাক পেয়েছেন পেস-অলরাউন্ডার স্যাম কারেন। এক টেস্ট বাইরে থেকে ফিরেছেন আরেক অলরাউন্ডার ক্রিস ওকসও। তাকে জায়গা করে দিতে বাইরে চলে গেছেন পেস-অলরাউন্ডার ক্রেইগ ওভারটন।
একসঙ্গে দুই পেস-অলরাউন্ডার ফেরানোর ব্যাপারে যুক্তিও আছে ইংল্যান্ডের। কারণ ডান কাঁধে চোট পাওয়ার কারণে ওভালে বল করা হবে না বেন স্টোকসের। সেই কমতি পুষিয়ে নিতেই একসঙ্গে দুই অলরাউন্ডারের দলে অন্তর্ভুক্তি।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দলে এতসব সমস্যা নেই। পুরো সিরিজে ভুগলেও টিকে গেছেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্কাস হ্যারিস। শেষ টেস্টে শুধু বাদ গেছেন সহ-অধিনায়ক ট্রাভিস হেড। তার জায়গায় দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ।
ইংল্যান্ড দল: ররি বার্নস, জো ডেনলি, জো রুট (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার, স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস, জফরা আর্চার, স্টুয়ার্ট ব্রড, জ্যাক লিচ।
অস্ট্রেলিয়া দল: ডেভিড ওয়ার্নার, মার্কাস হ্যারিস, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল মার্শ, ম্যাথু ওয়েড, টিম পেইন (অধিনায়ক), প্যাট কামিন্স, পিটার সিডল, মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন, জস হ্যাজেলউড।