ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে রীতিমতো হোমওয়ার্ক কষতে শুরু করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বেঙ্গালুরুতে দুই ইনিংসেই অশ্বিনের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হওয়ার পর এই পদক্ষেপ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের।
সব মিলিয়ে ২৩ ইনিংসে মুখোমুখি হয়ে অশ্বিনের স্পিনবিষে নীল হয়ে মোট ৯বার সাজঘরে ফিরেছেন ওয়ার্নার। রাঁচিতে পরের টেস্টে একই পথে হাঁটতে চান না। ভারতীয় অফস্পিনারকে নিয়ে তাই বাড়তি গবেষণাতে মনোযোগ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘স্পিন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে নেটে অনুশীলন করছি। বেঙ্গালুরুতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছিলাম। বলটি হঠাৎ বাউন্স করেছিল। এমন বাউন্সগুলো নিয়েও কাজ করছি।’
নিজের শট নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলেও হতাশ নন ওয়ার্নার, ‘আমি শট সিলেক্ট করেই বলটি রিভার্স সুইপ করার চেষ্টা করি। ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে হয়নি। পরবর্তীতে এসব শট খেলার ব্যাপারে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।’
অশ্বিনের বলে আউট হয়ে অবশ্য বিষোদগার করছেন না অজি তারকা। ভারতীয় প্রতিপক্ষকে কৃতিত্বই দিচ্ছেন। প্রশংসার ঝাঁপি খুলে বলেছেন, ‘ও অসাধারণ একজন বোলার। আমার রিভার্স সুইপ টের পেয়ে ও বল ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আমি তাকে সম্মান করি।’
নিজে হয়তো অফস্পিনে আউট হয়েছেন। তাতে অভিজ্ঞতার ব্যবহারটা কম হচ্ছে না ওয়ার্নারের। তার পূর্ব-অভিজ্ঞতা যে ২০ বছর বয়সী ওপেনিং সঙ্গী ম্যাট রেনশকে সাহায্য করছে। অশ্বিনের ঘূর্ণি নিয়ে রেনশকে বেশ কিছু টিপস দিয়েছিলেন। যা কাজেও লেগেছে, ‘রেনশকে বেশ কিছু বিষয়ে বলেছিলাম। যা তাকে সাহায্য করেছে। রেনশ’র উইকেটটা কিন্তু অশ্বিন নিতে পারেনি।’
অন্যদিকে ওয়ার্নারকে ফাঁদে ফেলতে অশ্বিনও পরিকল্পনা করেই মাঠে যাচ্ছেন। ওয়ার্নারের উইকেট প্রসঙ্গে জানালেন, ‘উইকেট টু উইকেট বল করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি আমি। তবে ওয়ার্নারের উইকেট প্রাপ্তিতে আমার ঘূর্ণির চাইতে তার অবদানই বেশি, তিনি নিজেই অনেকটা সহজ করে দেন।’
চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন ১-১ সমতা বিরাজ করছে। আগামী ১৬ মার্চ রাঁচিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে নামবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। এই টেস্টের জন্য চোটে পড়া মিশেল স্টার্কের বদলে অজি দলে ডাক পেয়েছেন প্যাট কামিন্স।