দল যখন চরম বিপাকে পড়ে, তখন কোনো ‘অলৌকিকতা’ই বাঁচাতে পারে। তবে সেরকম অলৌকিতা ঘটতে পারে, যদি বিশেষ কারও অনুপ্রেরণা দলের সঙ্গে থাকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ ওলে গানার সোলশেয়ার হয়তো এরকমই ভাবছেন।
পিএসজির বিরুদ্ধে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে হার ০-২ গোলে। আর বুধবার অ্যাওয়ে ম্যাচে নামার আগে চোটের তালিকা ক্রমশ আরো লম্বা। তাই ‘অলৌকিকতা’ই দরকার শেষ আটে পৌঁছাতে। এই অবস্থায় প্রেরণা আর কে জোগাবেন, স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ছাড়া। তিনি প্যারিস গেছেন ম্যানইউ দলের সঙ্গে।
শেষ ষোলোর ফলাফলে বদল আনতে ওলে গানার নিজেই দলের পাশে চেয়েছেন তার কোচকে। যার আমলে একাধিক ম্যাচে শেষ সময়ে ‘কামব্যাক’ করত ইউনাইটেড।
১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারানোও তো ৯০+৩ মিনিটে। আর সেই গোলটি ছিল খোদ গানারেরই। নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এরকমই কামব্যাক দরকার নরওয়ের সাবেক স্ট্রাইকারের। প্যারিসে এমবাপে-ডি মারিয়াদের হারাতে হবে অন্তত ৩-০তে।
মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে অন্তত ১০ জন বড় নাম নেই ম্যানইউতে। আর তারা সবাই তারকা। পল পগবা নেই কার্ড সমস্যায়। বাকি ন’জন নেই চোটের জন্য। আলেক্সিস সানচেজ, জেসে লিনগার্ড, হুয়ান মাতা, অ্যান্থনি মার্শাল, আন্দ্রে হিয়েরা, ফিল জোন্স, অ্যান্থনিও ভ্যালেন্সিয়া- কে নেই সেই চোটের তালিকায়!
ইউনাইটেডের মতো না হলেও চোট থাবা বসিয়েছে পিএসজি দলেও। নেইমার পায়ের চোট সাড়াতে এখনো ব্রাজিলে। তাকে রিও ডি জেনেইরোর কার্নিভালে উৎসব পালন করতে দেখা গেছে। পিএসজির কর্মকর্তারা আবার চাইছেন নেইমার বুধবার অন্তত গ্যালারিতে থাকুন।
উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানি খেলতে পারবেন কিনা এখনো নিশ্চিত নয়। তবু ঘরের মাঠে পিএসজিকে এগিয়েই রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। তার একটা কারণ, প্রথম লেগে ২-০ এগিয়ে থাকা। আর দুই, এমবাপে, ডি মারিয়া, ভেরোত্তিদের মতো তারকার উপস্থিতি।