সাউথ কোরিয়ায় বসতে যাচ্ছে ২০১৮’র শীতকালীন অলিম্পিক আসর। আগামী সপ্তাহে পর্দা উঠতে যাওয়া আসরটি আধুনিক অলিম্পিকে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে! সোচিতে হওয়া গত আসরের চেয়ে এবার অ্যাথলেটদের জন্য কনডমের বরাদ্দ আরও বেড়েছে। এবার মাথা প্রতি ৩৭টি কডনম পাবেন অ্যাথটেলরা।
অ্যাথলেটদের নিরাপদ রাখতেই এ ব্যবস্থা বলে পিয়ংচ্যাং অলিম্পিক আয়োজক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানায় সিএনএন।
এবারের অলিম্পিকে অংশ নেয়া অ্যাথলেটদের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার কনডম বরাদ্দ রেখেছেন আয়োজকরা। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত গত আসরে যার সংখ্যা ছিল ১০ হাজার। যদিও আগের আসরের চেয়ে মাত্র ১০০জন বেশি অ্যাথলেট অংশ নেবেন এ অলিম্পিকে।
৯-২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা এবারের শীতকালীন অলিম্পিকে ৯০টি দেশের ২৯২৫জন অ্যাথলেটকে স্বাগত জানানোর আশা করছেন আয়োজকরা। সে হিসেবে অ্যাথলেট প্রতি কনডমের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৭টি। বিশেষজ্ঞরা দুই সপ্তাহের জন্য এই পরিমাণকে একটু বেশিই বলছেন।
আয়োজকরা সবসময় বলে থাকেন, অলিম্পিক আসর মানে অ্যাথলেটরা শুধু ফিটনেস সেন্টার, খাওয়ার টেবিল ও মিডিয়ার সামনে দৌঁড়াবে। আসলে তারা এখানে নিজের বাড়ির প্রায় সব সুযোগ সুবিধাই উপভোগ করবে। অলিম্পিক একটি গ্লোবাল ভিলেজ হিসেবে তাদের সুসংগঠিত সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরে তাদের সব সুবিধা প্রদান করা হবে। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক ডাক পরিষেবা থেকে শুরু করে ফুলের দোকান পর্যন্ত রয়েছে।
স্থানীয় মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে সাউথ কোরিয়ার কনডম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একজন মুখপাত্র বলেন, কনডম সরবরাহের কারণে যারা সুবিধা পাবেন তাদের জন্য ‘শুভকামনা রইল’।
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, মিডিয়াকর্মী এবং দর্শকদেরও হতাশ হওয়ার দরকার নেই। আমরা তাদের প্রয়োজনেও পাশে থাকব।
তবে এমন খবরে যদি আপনি আশ্চর্য হয়ে থাকেন, তাহলে আধুনিক অলিম্পিকে কনডমের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দেখতে পারেন।
১৯৮৮ সালে এই সাউথ কোরিয়াতেই অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের সময় প্রথমবারের মত কনডম বিতরণ করা হয়। যাতে এইচআইভি ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। তখন অবশ্য অ্যাথলেটসহ সবার কাছ থেকে পয়সা নেয়া হত।
পরে ১৯৯৪তে নরওয়ে অলিম্পিকে বিনা পয়সায় কনডম বিতরণ করা হয়। এসময় এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অ্যাথলেট, মিডিয়াকর্মী ও বড় বড় তারকারা মিলে ব্যাপক প্রচারণাও চালান।
২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ৯০ হাজার কনডম বিতরণ করেন আয়োজকরা।
২০১০ সালে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ভ্যানকুভারের শীতকালীন অলিম্পিকে অ্যাথলেট ও কর্মকর্তাদের জন্য প্রায় ১ লাখ কনডম বিতরণ করেছিল।
তবে অলিম্পিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি কনডম বিতরণ হয়েছে ২০১৬তে। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে বিতরণ করা হয় সাড়ে ৪ লাখ কনডম। যেখানে মাথা পিছু সংখ্যা ছিল ৪২।