চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ’ বন্ধে সহযোগিতায় আগ্রহী ভারত

ঢাকা সফরে থাকা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ডক্টর এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ আছে; বাংলাদেশ চাইলে তাতে সহযোগিতায় প্রস্তুত তারা।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ত্রিদেশীয় উদ্যোগের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন তিনি। বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিস্তার পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং ভিসা জটিলতা সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জয়শঙ্কর। পরে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন তিনি।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের প্রাতঃরাশ বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও।

বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি আইন-বিচার, সুশাসন এবং মানবাধিকারকর্মীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় নির্ধারণ করা বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে।

মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, পানি বণ্টনের কথা যখন এসেছে নির্ধারিতভাবেই তিস্তার কথা এসেছে। জয়শঙ্কর জানিয়েছেন সেটা দেশের সম্পদ বিতরনের যে পলিসি রয়েছে তার সাথে সঙ্গতি রেখেই এটা করা হবে।

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমেরিকা নিরাপত্তা বিষয়ে ইন্ডিয়ার সঙ্গে কীভাবে কাজ করবে? এই প্রশ্ন তিনি (জয়শঙ্কর) আমাদের উল্টোভাবে করেছেন। জয়শঙ্কার বলেছেন, এটা তো আমেরিকা বলেছে আমরা বলিনি।’

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানের কথাও জানান বিশিষ্ট নাগরিকরা।

শের-ই-বাংলা ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব ও প্রতিনিধিরা বলেছেন, এটা তাদের জন্যও উদ্বেগের। বাংলাদেশ অশান্ত হলে সেটা ভারতের জন্য উদ্বেগের। এ ব্যাপারে তারা সাহায্য করতে প্রস্তুত। তবে বাংলাদেশ কতটুকু চাইবে সেটার উপর নির্ভর করে করণীয় ঠিক করা হবে।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী জানান, আমরা পানি সম্পদ বন্টনের কথা বলেছি। সেটা নেপাল, ভুটানসহ কীভাবে করা যায় সে ব্যাপারে কথা হয়েছে।

সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় শুরু হয় দু’দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠক। বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক।