গ্রিক দ্বীপ লেসবসে আটকে থাকা ২৫ হাজার অভিবাসীকে এথেন্সে নিয়ে আসতে অতিরিক্ত জনবল ও জাহাজ পাঠিয়েছে গ্রিস। হাঙ্গেরিতে অধৈর্য্য হয়ে পড়া অভিবাসীদের সঙ্গে পুলিশেষ সংঘর্ষ হয়েছে। দেড়শ’ অভিবাসীকে সুইডেনে ঢুকতে বাধা দিয়েছে ডেনমার্কের পুলিশ। কোটা পদ্ধতিতে অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার প্রশ্নে এখনও বিভক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
গ্রিসের দ্বীপ হলেও লেসবনের অবস্থান মূল ভূ-খণ্ড থেকে দূরে, তুরস্কের কাছে। ৬৩০ বর্গমাইলের এ দ্বীপটিতেই আটকে আছেন প্রায় ২৫ হাজার অভিবাসী। বেশিরভাগই যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে আসা। দুই সপ্তাহ মানবেতর জীবনযাপনের পর দ্বীপটি প্রায় বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়ায় গ্রিসের টনক নড়েছে। একটি পরিত্যক্ত ফুটবল মাঠে অভিবাসীদের রাখার পরিকল্পনা নিয়ে রাজধানী এথেন্সে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক গ্রিক মন্ত্রী বলেছেন, সিদ্ধান্তে আরো দেরি হলে বড় ধরণের সঙ্কট দেখা দিতো।
হাঙ্গেরি থেকে অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে হাঙ্গেরির বিভিন্ন ক্যাম্প এবং সার্বিয়া সীমান্তে এখনও যাত্রা শুরুর অপেক্ষায় হাজারো মানুষ। প্রক্রিয়া শুরু হতে দেরি হওয়ায় ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙে ঘটেছে সহিংসতার ঘটনা।
সার্বিয়া সীমান্তে পুলিশী বাধা ভেঙে রাজধানী বুদাপেস্টের পথে রওয়ানা হন শত শত অভিবাসী। হাঙ্গেরির রজকে শহরে অভিবাসীরা পাথর ছুঁড়ে ও হাতাহাতি করে ক্যাম্প থেকে বেরোতে চাইলেও পিপার স্প্রে ছুঁড়ে বাধা দেয় পুলিশ। পরে তাদের আরেকটি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিবাসীদের গ্রহণে জার্মানি ও তার চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এককভাবে এগিয়ে এলেও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশগুলোর আগ্রহ খুবই কম। কোটা পদ্ধতিতে সম্ভাব্য ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসীর মধ্যে ২৪ হাজারকে নিতে রাজি হয়েছে ফ্রান্স। কিন্তু কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়া। তাদের যুক্তি জন্মহার ও কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমতে থাকা জার্মানির লোকবলের প্রয়োজন বলেই অভিবাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে।