অভিবাসী প্রত্যাশীদের ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয় দিতে আজ কোটা ব্যবস্থা ঘোষণা করবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। ইইউ’র এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, শরণার্থী সঙ্কট সমাধানের প্রাথমিক পদক্ষেপ হবে কোটা নির্ধারণ। চলতি বছর ৮ লাখ এবং প্রতিবছর ৫ লাখ করে অভিবাসী নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধভূমি থেকে সমুদ্রপথে পালিয়ে আসা হাজার হাজার শরনার্থীকে আশ্রয় দিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে ইউরোপের দেশগুলো। তাদের আশ্রয় দিতে আজ কোটা পদ্ধতি ঘোষণা করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে অভিবাসী বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইইউ। নির্দেশ পালিত না হলে অর্থ জরিমানার কথাও বলা হচ্ছে।
ইইউ কমিশন প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদ জাংকার বলেছেন, ইতালি, গ্রিস এবং হাঙ্গেরিতে থাকা শরনার্থীর ৬০ শতাংশ আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে জার্মানী, ফ্রান্স এবং স্পেন। স্পেন কর্তৃপক্ষ বলেছে , ইইউ যে পরিমাণ অভিবাসী বরাদ্দ দেবে তাই মেনে নেয়া হবে।
অভিবাসী গ্রহণে নমনীয় হয়েছে পোল্যান্ড। নরওয়ের হোটেল মুঘল পিটার স্টোরড্যালেন ৫ হাজার শরনার্থীকে তার হোটেল চেইন নরডিক চয়েস হোটেলে বিনামূল্যে থাকতে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ওদিকে তুরস্ক হয়ে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে গত একদিনেই ম্যাসিডোনিয়ায় পৌঁছেছে ৭ হাজার সিরীয় অভিবাসী। গ্রিসের লেসবস দ্বীপে অভিবাসী প্রত্যাসীর সংখ্যা ৩০ হাজারে পৌঁছেছে।
সার্বিয়া হয়ে হাঙ্গেরিতে আসা শরনার্থীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে । দক্ষিণ হাঙ্গেরির সীমান্তবর্তী গ্রাম রৎজেকে আটকে আছে কয়েক হাজার শরণার্থী। সারফেইসজার্মানী ও অস্ট্রিয়া বিপুল পরিমাণ শরণার্থী গ্রহণ করলেও ইইউভুক্ত ২৮টি দেশের সবাইকে শরণার্থী ভাগ করে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে এতে আপত্তি জানিয়েছে পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো।
শান্তি, পুনর্মিলন,গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষায় ২০১২ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী ইইউ এই সংকট কিভাবে মোকাবেলা করে তারই প্রতীক্ষায় সমগ্র বিশ্ব।