টিভি ও মঞ্চের অভিনয়শিল্পী আল মামুন নাটক নির্মাণ করেছেন। নাম ‘দক্ষিণ সমুদ্র তীরে’। নাটকের পুরো শুটিং হয়েছে মালয়েশিয়ায়। নাটকটি পরিচালনার পাশাপাশি লিখেছেন ও প্রযোজনা করেছেন আল মামুন। নাটকে অভিনয় করেছেন শখ, নিলয়, নাফা, সাজ্জাদ রেজা, স্বর্ণাসহ আরও অনেকে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে আল মামুন বলেন, ‘গল্পের প্রয়োজনে পুরো নাটকের শুটিং করা হয়েছে মালয়েশিয়ায়। শখ তার বান্ধবী ও বান্ধবীর জামাইয়ের সঙ্গে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্ল্যান করে। টিকিট বিভ্রাটের কারণে শখকে যেতে হয় আলাদা। মালয়েশিয়ায় পরিচয় হয় রহস্যময় এক লোকের সঙ্গে। নাম দাদা ঠাকুর। বাংলাদেশের গরীব মেধাবী ছাত্রদের নানা দেশে পড়ার সুযোগ করে দেন। এমন এক মেধাবী ছাত্র নিলয়। দাদা ঠাকুরের মাধ্যমে শখের পরিচয় হয় নিলয়ের সঙ্গে। তারপর গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে।’
আল মামুন ১৯৭৫ সালে নাটকের দল নাট্যচক্রর ‘স্পার্টাকাস’ নাটকে কাজের মধ্য দিয়ে ঢাকার মঞ্চে পা রাখেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের ‘অচলায়তন’ নাটকেও অভিনয় করেছেন। সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত নাটক ‘নুরুলদিনের সারাজীবন’ নাটকের মাধ্যমে প্রথম সরকারি আমন্ত্রণে ভারত যান ১৯৮৪ সালে। এটাই ছিল নাটকের কোনো দলের প্রথম ভারত সফর। মঞ্চের পাশাপাশি অভিনয় করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিভিন্ন নাটকে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের বরেণ্য নির্মাতা আতিকুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় ‘শেষের কবিতা’ নাটকে জ্যোতি সরকারের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।
ওই সময়ের স্মৃতিচারণ করে আল মামুন বলেন, ‘টিভিতে দেখে আতিকুল হক চৌধুরী আমাকে খুঁজছিলেন। আমাকে পেয়ে বললেন, তোমাকে পাইনি বলে নাটক শুরু করিনি। তোমার জন্য দেরিতে শুরু হলো।’
আল মামুন পরিচালনায় আসেন আতিকুল হক চৌধুরীর লেখা নাটক দিয়েই। ‘কালা পাহাড়’ নামের সেই নাটক প্রচার হয় এসএ টিভিতে। এটাই আতিকুল হক চৌধুরীর লেখা শেষ নাটক।
অভিনয় ও পরিচালনার পাশাপাশি আবৃত্তিতে সরব আল মামুন। লিখেছেন গান। বিটিভির তালিকাভুক্ত নাট্যকার আল মামুন আবৃত্তি সংঘের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সাথে ছিলেন। নাটক লেখা, আবৃত্তি, অভিনয়, নির্মাণ, গান লেখা আল মামুন জানালেন, তিনি মূলত মনেপ্রাণে অভিনেতা। অভিনয়ই তাকে তৃপ্ত করে।